আলোচিত আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় একমাত্র দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আদালত তাঁকে ৫০ হাজার রুপি জরিমানা করেছেন। এছাড়াও ওই নারী চিকিৎসকের পরিবারকে ১৭ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত।
সোমবার কলকাতার শিয়ালদহের জেলা দায়রা জজ আদালত এই আদেশ দিয়েছেন। গত শনিবার এই আদালত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেন। ঘটনার ৫ মাস ১১দিন পর আজ বেলা পৌনে ৩টার দিকে এই শাস্তি ঘোষণা করা হয়।
গত শনিবার এই আদালতের বিচারক উভয় পক্ষের সওয়াল–জবাবের পর ভারতের ন্যায় সংহিতার তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন সঞ্জয় রায়কে। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের চার্জশিটে একমাত্র অপরাধী ছিলেন।
আজ এই রায় দেন কলকাতার শিয়ালদহের জেলা দায়রা জজ আদালতের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী সঞ্জয় রায়ের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। অন্যদিকে সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী রাজদীপ হালদার, আসামির ‘মানসিক স্বাস্থ্য’ বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে চরম শাস্তি না দেওয়ার দাবি করেন।
শাস্তি ঘোষণার আগে আদালতে সঞ্জয় রায়কে তোলা হলে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আবার বলে ওঠেন, তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আদৌ জড়িত নন। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। যদিও বিচারক জানিয়ে দেন, এখন আর সেই কথা বলার সুযোগ নেই তাঁর। এখন তিনি শুধু শাস্তি নিয়ে কথা বলতে পারেন।
আলোচিত এই হত্যা ও ধর্ষণ মামলার পুনঃতদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নিহত চিকিৎসকের মা–বাবা। আগামী ১৭ মার্চ সেই আবেদনের শুনানি হবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে। নির্যাতিতার মা–বাবা আজ আবার বলেছেন, শুধু একজন এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারেন না। সিবিআইকে অন্য অপরাধীদেরও খুঁজে বের করে দিতে হবে। যদিও সঞ্জয় রায় আগে থেকে দাবি করেছিলেন যে তিনি ওই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।