কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সেলিম ভূইয়া (৪৪) নামের স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা পশ্চিম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সেলিম ভূইয়া উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূইয়ার সমর্থক। এ ছাড়া তিনি খিলপাড়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজার বাদশা মিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূইয়ার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সম্মেলন ছিল। একই সময় পেরিয়া ইউপির কাকৈরতলা বাজার সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূইয়ারও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ছিল। এতে করে বাঙ্গড্ডা বাজার অতিক্রম করার সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় সেলিম ভূইয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
নাঙ্গলকোটের সাবেক সংসদ আবদুল গফুর ভূইয়া বলেন, বাসন্ডা গ্রামে দাওয়াত খেয়ে পেরিয়া ইউনিয়নের কাকৈরতলা বাজারে একটি প্রোগ্রামে যাওয়ার পথে বাঙ্গড্ডা পশ্চিম বাজারে পৌঁছলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূইয়ার নেতৃত্বে যুবদলের নেতারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সেলিমকে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।