বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ ৫ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
বিয়ের রাতেই টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে পালাল নববধূ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫, ৮:১২ PM
আদিতমারীতে বাসরঘর থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে রুমানা খাতুন নামে এক নববধূ। শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী হোসেন আলী।

হোসেন আলী লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী গ্রামের খিজির মামুদের ছেলে। নববধূ রুমানা খাতুন (৩০) একই উপজেলার সাপ্টিবাড়ি এলাকার এনছার আলীর মেয়ে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় দ্বিতীয় বিয়ের প্রস্তুতি নেন কৃষক হোসেন আলী। ঘটক জোবাইদুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম বিয়ে দেওয়ার কথা বলে বুধবার (১৪ মে) হোসেন আলীকে লালমনিরহাট শহরে নিয়ে যান। সেখানে পাত্রী হিসেবে স্বামী পরিত্যক্তা রুমানা খাতুন নামে একজনকে দেখালে তার পছন্দ হয় এবং তাৎক্ষণিক তাদের কাজী আমজাদ হোসেনের নিকাহ রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে এক লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে দেন।

বিয়ের পর নববধূ রুমানাকে নিয়ে রাতে বাড়িতে ফিরতে চাইলে তাদের সঙ্গে ঘটক জোবাইদুলের মেয়েকেও পাঠানো হয়। পরদিন সকালে স্বামী হোসেন আলীর ঘরে থাকা তামাক বিক্রির এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও দেড় ভড়ি স্বর্ণালংকার নিয়ে ঘটকের মেয়েসহ নববধূ পালিয়ে যায়। 

পরে নববধূর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় বর হোসেন আলীর। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ঘরে গচ্ছিত থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকার নেই। ঘটনার পর ঘটকের কাছে গেলে তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। বিয়ের নকল চাইতে গেলে নিকাহ রেজিস্টার কাজী আমজাদ হোসেন সরকার বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। বর হোসেন আলী বুঝতে পারেন টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করতেই এ চোর সিন্ডিকেট বিয়ের নাটক তৈরি করেন।

অবশেষে টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে নিকাহ রেজিস্টার ও নববধূ রুমানাসহ চার জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার বিকেলে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন বর হোসেন আলী। অভিযুক্তরা হলেন, নববধূ রুমানা খাতুন, বিয়ের ঘটক একই এলাকার তালুক পলাশী গ্রামের জোবাইদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও লালমনিরহাট পৌরসভার নিকাহ রেজিস্টার কাজী আমজাদ হোসেন সরকার।

বর হোসেন আলী জানান, অভিযুক্তরা জানতো বাড়িতে তামাক বিক্রির টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিল। চুরি করতে তারা বিয়ের নাটক তৈরি করে আমার বাড়িতে স্ত্রী হিসেবে পাঠায় রুমানা ও ঘটকের মেয়েকে। বিয়ে দেওয়ার বখশিশ হিসেবে ঘটক জোবাইদুলকে টাকাও দিয়েছি ১০ হাজার।

স্থানীয়রা জানান, রুমানাসহ ওই চক্রটির কাজই হলো বিয়ের নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও জিম্মি করে অর্থ আদায় করা। তাই ওই নারী স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাস করে না।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত