হিজলায় ঢাকাগামী লঞ্চের ডেকের বিছানা বাণিজ্য করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন হরিনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. খালেক মাঝি। এ সময় ওই বিএনপি নেতা ও তার দলবলের হামলায় কমপক্ষে ১৫-১৬ জন লঞ্চযাত্রী আহত হয়েছেন।
হানাথপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপুর লঞ্চঘাটে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় লঞ্চের বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের রোষানলে পড়ে দলবল নিয়ে দ্রুত ছটকে পরেন মো. খালেক মাঝি। গণধোলাই শিকার হওয়ার বিষয়টি অকপটে শিকার করেছেন ওই বিএনপি নেতা। এ নিয়ে ওই এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, কসকাল ৮টার দিকে মুলাদীর মৃধার হাট থেকে এম বি জানডা নামের একটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। সকাল ৯টার দিকে লঞ্চটি হিজলার হরিনাথপুরের শৌলা ঘাট থোক যাত্রী তোলার জন্য টার্মিনালে নোঙর করে। এ সময় পূর্ব থেকে লঞ্চের ডেকে বিছিয়ে রাখা চাঁদর থেকে ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকা উত্তোলন করছিলো হিজলার হরিনাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. খালেক মাঝি ও তার দলবল। এ সময় লঞ্চে ওঠা একাধিক যাত্রী টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের মারধর শুরু করেন বিএনপি নেতা খালেক মাঝি ও তার সহযোগীরা। তাদের হামলায় লঞ্চের ১৫ থেকে ১৬ জন যাত্রী আহত হন।
অভিযুক্ত হিজলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. খালেক মাঝি গণধোলাইয়ের শিকার হওয়ার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে বলেন, তিনি কোনো চাঁদাবাজি করতে যাননি। লঞ্চে গোলযোগ দেখে তিনি থামাতে যান। এসময় লঞ্চের যাত্রীরা মিলে তাকে এলোপাথারি মারধর করেছেন।
লঞ্চে থাকা মেহেদী হাসান বান্না নামের একযাত্রী মোবাইল ফোনে বলেন, খালেক মাঝি নামের ওই বিএনপি নেতা ও তার দলবল লঞ্চের যাত্রীদের উপর হামলা করেছে। এ সময় এক যাত্রীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি।