চলমান জাতীয় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন–২০২৫ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এক সমন্বয় (কো-অর্ডিনেশন) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মানস চক্রবর্তী।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাত হোসেন মোল্লা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ছিরু মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান লেবু, সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. ওহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম শরীফ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মশিউর রহমান মিন্টু, প্রেসক্লাব মুকসুদপুরের সভাপতি আমজাত হোসেন আহমেদ মোল্লা, এবং দৈনিক বিজয় সকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাঈদ আহাম্মেদ টুটুল মল্লিক সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, টাইফয়েড জ্বর একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক রোগ, যা দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে সহজেই ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে শিশুদের দীর্ঘমেয়াদি জ্বর, দুর্বলতা এবং মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। তাই টাইফয়েড টিকা গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ — এটি শিশু ও কিশোরদের রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং ভবিষ্যতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
সভায় জানানো হয়, এবছর মুকসুদপুর উপজেলায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী মোট ৮৪ হাজার ৪৬২ জন কিশোর-কিশোরীকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৭ হাজার ৮৩৬ জনকে ইতিমধ্যে টিকা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে, এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বাকি শিশু-কিশোরদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন।
বক্তারা আরও জানান, টাইফয়েড নির্মূলে সফল হতে হলে শুধু টিকা নয়, নিরাপদ পানি, সঠিক স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাও জরুরি।