শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫ ১১ শ্রাবণ ১৪৩২
শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫
আওয়ামী লীগ অফিস এখন ‘ফ্যাসিজম গবেষণা ইনস্টিটিউট’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০২৫, ৬:৪৪ PM
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে টাঙানো হয়েছে একটি লাল ব্যানার, এতে লেখা আছে, ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট’। ভবনটির ভেতরে চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। তবে শুক্রবার বন্ধের দিন শ্রমিকরা ছুটিতে থাকায় সে কাজ বন্ধ রয়েছে, শুধু মোটর পাম্প লাগিয়ে ময়লা পানি অপসারণ করা হচ্ছে।

পরিষ্কার করার কাজে নিয়োজিত মাতবর আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, “এখানে ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট হবে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষে হলে দেখতে পারবেন সবকিছু।”

গত বছরের ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির কার্যালয় ছাত্র-জনতার রোষানলে পড়ে। তছনছ করার পর আগুন দেওয়া হয় ১০ তলা ভবনটিতে। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা এ ভবনে ময়লা আবর্জনার স্তুপ জমেছে। ছিন্নমূল মানুষ, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পথচারীদের শৌচাগারে পরিণত হয়েছিল এটি, ভাসমান মানুষের নেশার আড্ডাও জমতো এখানে। ভবনের নিচের তলা ময়লা-আবর্জনা জমে এমন অবস্থা হয়েছে যে সেখানে ঢুকে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের।

মাতবর আলী বলেন, “গত বুধবার থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। আজ শুক্রবার বন্ধের দিন বলে শ্রমিকরা ছুটিতে। কাল আবার কাজ শুরু হবে। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ময়লা-আর্বজনা আমরা এখান থেকে সরিয়ে নিতে পারব।”
ভবনটির সামনে বসে ছিলেন কয়েকজন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের নামে একটি কার্যালয় করা হবে।

কার্যালয়ের নাম কী জানতে চাইলে সোহরাব আলী নামে একজন বলেন, “ওই যে লাল কাপড়ে লেখা আছে, সেই অফিসটি হবে।”

কারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন? প্রশ্ন করলে সোহরাব বলেন, “এতকিছু আপনাকে বলতে পারবো না। সাংবাদিক হইলেও, সব কিছু বলতে আমরা বাধ্য নই। রিপোর্ট করতে আইছেন, দেখে নিজে লেখে নেন।”

আমড়া বিক্রেতা রিপন মিয়া বলেন, “আওয়ামী লীগের অফিসটা একবছর আগেই ভেঙে চুরমার করেছে ছাত্ররা। এখন এখানে আওয়ামী লীগের কোনো চিহ্ন নাই, শুধু ভাঙা নৌকার একটি অংশ ছাড়া। এক বছরে এখানে মানুষজন ময়লা-আবর্জনা ফেলায় এমন অবস্থা হয়েছে যে উৎকট গন্ধে আশেপাশের দোকানদারদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হচ্ছে। শুধু তাই না, এটা ছিন্নমূল মানুষজনসহ রিকশাচালক, ভ্যান চালক, পথচারীদের শৌচাগারে পরিণত হয়েছিল। ভাসমান মানুষের নেশা আড্ডা জমতো এখানে।”

এদিকে আন্তর্জাতিক ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট নামের এ প্রতিষ্ঠান কে তৈরি করেছে, এর সঙ্গে কারা যুক্ত, কীভাবে এই নাম এসেছে—সেসব প্রশ্নেও কিছু বলতে রাজি হননি তাদের কেউ।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত