বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনীত চুড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ফেনীর তিনটি আসনে চুড়ান্ত তালিকায় আবদুল আউয়াল মিন্টুর নাম ঘোষণায় দাগনভূঞা উপজেলায় আনন্দের বন্যা ছড়িয়ে পড়েছে।
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে গতকাল সোমবার রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। দলমত নির্বিশেষে উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত ব্যক্তিগত ভেরিফাইড আইডি থেকে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে জানিয়েছেন অভিনন্দন।
এদিকে অভিনন্দন জানিয়ে কোরাইশমুন্সি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় আনন্দ উল্লাস করেন দলীয় অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, আবদুল আউয়াল মিন্টু দাগনভূঞা উপজেলার একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। যিনি তাঁর এলাকার উন্নয়ন এবং সমাজসেবা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর কাজের মধ্যে স্থানীয় মানুষের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছিল অন্যতম। তিনি স্থানীয় শিক্ষার উন্নতির জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন। তাঁর উদ্যোগে বহু স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এবং তিনি নানা ভাবে স্থানীয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও উৎসাহ প্রদান করেছেন। এর মাধ্যমে এলাকার শিক্ষার মান অনেক বেড়েছে।
দাগনভূঞায় স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধির জন্য তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করেছিলেন। হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিনি বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো প্রকল্পে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যেমন সড়ক নির্মাণ, জল সরবরাহ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য পাবলিক সেবার উন্নয়ন। এসব কাজ এলাকার জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে। এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে আবদুল আউয়াল মিন্টু'র অবদান নেই। সে হিসেবে তিনি সবার পচন্দের একজন গুনী ব্যক্তিত্ব হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন।
আউয়াল মিন্টু অনেক সামাজিক কাজেও জড়িত ছিলেন। গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য ত্রাণ বিতরণ, দুর্যোগকালীন সহায়তা, এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
এভাবে আবদুল আউয়াল মিন্টু দাগনভূঞার এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত লাভ করেন। তাঁর কাজের মাধ্যমে তিনি এলাকায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছেন এবং এখনো তার অবদান সবার মনে অমলিন রয়েছে। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে তিনি নিজ বাড়িতে কখনও অবস্থান করতে পারেননি। বিভিন্নভাবে হামলায় লাঞ্চিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মীদের রোষানলে পড়ে। নিজ এলাকায় তাঁকে কখনও আসতে দেয়া হয়নি। এরপরও দাগনভূঞা উপজেলায় তিনি যেসব অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন তা কেউই করতে পারেননি।
স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার পরবর্তীতে এতগুলো গুনীজন থাকা সত্বেও দাগনভূঞা থেকে নিজ আসনে (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি থেকে দাগনভূঞায় জন্মগ্রহণকারি কেউ এমপি হতে পারেননি। এটা এ উপজেলার দূর্ভাগ্য। কিন্ত সবার পছন্দের ব্যক্তি আবদুল আউয়াল মিন্টুকে দলীয়ভাবে চুড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণায় সবাই আনন্দিত ও গর্বিত। পচন্দের প্রার্থীকে আগামীতে ভোট দিয়ে বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
কাজি সাদ্দাম হোসেন এক কমেন্টে জানান, ফেনী-৩ আসনে তারেক রহমানের সেরা সিদ্ধান্ত আবদুল আউয়াল মিন্টু সাহেব। দল মত গ্রুপিংয়ের উর্ধে উঠে আবদুল আউয়াল মিন্টু সাহেব অত্র এলাকার সার্বজনীন নেতা।
দাগনভূঞা বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন লিটন জানান, বিগত সময়ে দাগনভূঞা উপজেলা থেকে কেউ এমপি নির্বাচিত হননি। এবার আবদুল আউয়াল মিন্টু সাহেব দলীয় প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করলে অত্র সংসদীয় আসনে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এবং জনগনও প্রত্যাশা করেন তাঁর মতো একজন গুনীজন এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন।
উল্লখ্য, আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কাটে সেখানেই, এবং পরবর্তীতে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গমন করেন।
তিনি পরবর্তীতে একজন সফল ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং রাজনীতিবিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন, তবে তাঁর শেকড় দাগনভূঞাতেই দৃঢ়ভাবে রয়েছে।