
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ে এবার সারাদেশের ন্যায় সারিয়াকান্দিতে পরীক্ষা বর্জন ও পুর্ন দিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) চলমান বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে উপজেলার ১৬৮ বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ সহকারী শিক্ষকেরা সারিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে দিনব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন। তবে ১৬৮ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিদ্যালয়ের দপ্তরিরদের সহযোগিতায় পরীক্ষা গ্রহণ করেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
দাবিগুলো হলো- বেতন স্কেল ১১ তম বেতনে গ্রেড নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতার অবসান এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।
সারিয়াকান্দি উপজেলায় অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহরাব হোসেন, মোছা.শারমিন আক্তার, তানজিয়া বিন রাজ্জাক, মো.তারেক আল মামুন, সাথী আক্তার, বিকাশ কুমার সাহা এবং শামীমা জিতু বক্তব্য দেন। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তারপরেও যদি দাবি মানা না হয় এরচেয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবে বলে তারা জানান।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে ২২ দিন অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বানে বুধবার থেকে সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা বর্জন ও পুর্ন দিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
১১তম গ্রেডসহ তিন দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার পরীক্ষা বর্জনসহ বিদ্যালয়ে পুর্ন দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মাহতাবুর রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষকদের দাবির সাথে আমি একমত। কিন্তু বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কোনভাবেই জিম্মি করা যাবেনা। সহকারী শিক্ষকের স্বাভাবিক কাজে ফিরিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।