চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) নিহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সরোয়ার বাবলা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদগাও থানার ওসি জাহেদুল কবির।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে নগরের বায়েজিদ এলাকায় চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নেন সরোয়ার। এতে এরশাদ উল্লাহ, সরোয়ার ও শান্ত নামের তিনজন গুলিতে আহত হন। তাদের মধ্যে সরোয়ারের মৃত্যু হয়।
বিএনপির নেতারা বলছেন, সরোয়ার দলটির কেউ নন। গণসংযোগে শত শত লোক অংশ নেয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপির প্রার্থী গণসংযোগ করার সময় সেখানে শত শত লোক অংশ নেন। সরোয়ার সেখানে অংশ নিলে সন্ত্রাসী দুটি দলের মধ্যে পূর্ববিরোধের জেরে তাকে গুলি করা হয়।
পুলিশ জানায়, সরোয়ারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। চান্দগাঁও থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, গুলিতে আহত সরোয়ার মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান সরোয়ার। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা জবানবন্দিতে ও পুলিশকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে সরোয়ারকে গুলি করা হয়।
২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর পর আওয়ামী লীগের প্রশ্রয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা গা-ঢাকা দিলে চট্টগ্রামের আন্ডারগ্রাউন্ড জগতের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের হাতে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর চট্টগ্রামে রাজনীতিবিদদের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে আবারও সক্রিয় হচ্ছে সন্ত্রাসীরা। তাদের ছত্রছায়ায় চলছে দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। একই সঙ্গে বেড়েছে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার।