গত কয়েক দিনে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি হারিয়েছে অনেকেই এছাড়াও আরও ঝুকিতে আছে বহু বাড়িঘর ফসলি জমি। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর পানি কমে গেলেও ভাঙনের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে পুরো নদী তীরের মানুষের। শীত আসার আগমুহূর্তে এই অসময়ের ভাঙনে মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে। শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য দেখা দিয়েছে তীব্র কষ্ট।
চিনাডুলী গ্রামের কৃষক মালেক বলেন, ভাঙনে আমার তিন বিঘা জমি আর বাড়ির অর্ধেক নদীতে চলে গেছে। সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, সবই নদীতে মিলিয়ে যাবে।
শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছরই ভাঙনের ভয় নিয়ে থাকতে হয়। এবার তো হঠাৎ করে অসময়ে নদী ভাঙতে শুরু করেছে আমরা চাই দ্রুত ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
আব্দুল্লাহ আল সাকিব বলেন, হঠাৎ করেই এই নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ফসলি জমি ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, ভাঙনের খবর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। আমরা দ্রুত ভাঙন রোধে বালুর বস্তা ফেলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জামালপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।