কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রী রেশমা খাতুন (২৮) ও তার ৩ বছরের শিশু কন্যা লামিয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে দৌলতপুর থানা পুলিশ মা মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত রেশমা খাতুন ঐ গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী রহিদুল ইসলামের স্ত্রী। লামিয়া ছিল তাদের একমাত্র সন্তান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শিশু লামিয়া খাতুন শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল। অর্থাভাবে তার চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না রেশমা খাতুন। প্রবাসী স্বামী রহিদুল ইসলাম নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতেন না বলে জানা গেছে। তাছাড়া পারিবারিক কলহের কারণে সংসারের খরচ দিতেন না বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, আর্থিক সংকট ও সাংসারিক অশান্তির কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে শিশু লামিয়াকে হত্যা করে রেশমা নিজেও আত্মহত্যা করেছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ মন্ডল জানান, জানতে পেরেছি যে, ঐ মহিলার প্রবাসী স্বামী তাঁকে কোন টাকা পয়সা পাঠাতো না। অভাব অনটনের কারণে তারা আত্মহননের পথ বেছে নিতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ জানান, আর্থিক সংকট, শিশুর অসুস্থতা ও পারিবারিক অশান্তির কারণে রেশমা খাতুন তাঁর শিশুকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে আমরা ধারণা করছি। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।