গাজীপুরের শ্রীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে সাতজনকে গ্রেফতারের ঘটনায় নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় সৎ ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম খান বুলবুল (৪৮)। তার পরিবার দাবি করেছে, বুলবুল কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা অপরাধে জড়িত নন; তিনি কেবল নিজের পাওনা টাকা ফেরত নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়েছেন।
গত ৬ নভেম্বর গভীর রাতে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। অভিযানে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মোল্লা (৪৮) ও তার সাত সহযোগীকে আটক করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, অভিযানে অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে।
একই অভিযানে আটক হন গফরগাঁও উপজেলার বারইহাটি গ্রামের বাসিন্দা, বরমী এলাকার সুপরিচিত ব্যবসায়ী বুলবুল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্রীপুর, গোসিংগা ও গফরগাঁও এলাকায় বৈধভাবে ইট-বালু ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন এবং একমি কোম্পানি ও হক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের স্থানীয় ডিলার হিসেবেও কাজ করছেন।
পরিবারের দাবি, বুলবুলের এনামুল হক মোল্লার কাছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা পাওনা ছিল। সেই টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য তিনি ওই রাতে এনামুলের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এনামুল টাকা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে বললেও, ঠিক তখন যৌথবাহিনীর অভিযান শুরু হয় এবং বুলবুলও গ্রেফতার হন।
বুলবুলের মেয়ে মানসুরা খাতুন বলেন, আমার বাবা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি একজন সৎ, পরিশ্রমী ব্যবসায়ী। শুধু নিজের টাকা ফেরত নিতে গিয়েছিলেন—কিন্তু এখন তিনি জেলে। আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানাই, দয়া করে সত্য যাচাই করুন।
বুলবুলের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন জানান, আমার স্বামী শান্ত স্বভাবের মানুষ। এলাকায় তাঁর ভালো সুনাম আছে। তাঁর নামে কখনো কোনো মামলা হয়নি, কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে তাঁকে দেখা যায়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আসাদ বলেন, বুলবুল ভাই বহু বছর ধরে আমাদের এলাকায় ব্যবসা করছেন। তাকে কখনো ঝামেলায় জড়াতে দেখিনি। আমরা সবাই জানি তিনি একজন সৎ মানুষ।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজের নেতারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও মানবিক বিবেচনা নিশ্চিত করা হোক, যেন নিরপরাধ একজন মানুষের সম্মান ও জীবন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।