সকালের সেশনটি বাংলাদেশের জন্য ছিল মিশ্র অভিজ্ঞতার। স্কোরবোর্ডে ১১১ রান যোগ হলেও দলটি হারায় ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন নৈশপ্রহরী দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক। ১৬৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় নিজের নামের পাশে আর মাত্র ২ রান যোগ করতে পেরেছেন। স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেন ১৭১ রানের (২৮৬ বল) এক ঝলমলে ইনিংস। অন্যদিকে, ৮০ রানে পুনরায় ব্যাটিং শুরু করা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকও ব্যক্তিগত ৮২ রানে ম্যাকব্রাইনের শিকার হন। এরপর অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম মাত্র ২৩ রান করে বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হামফ্রেসের বলে পরাস্ত হন।
টপ অর্ডারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ধৈর্য ও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের মিশেলে নিজের ষষ্ঠ টেস্ট ফিফটি পূর্ণ করেন এবং মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ৫০ রানে (অপরাজিত) থাকেন। শান্তকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন মারকুটে ব্যাটসম্যান লিটন দাস, যিনি ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। এই টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই প্রথম ইনিংসে পঞ্চাশোর্ধ রান করেছেন যা দেশের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো ঘটল। এটি বাংলাদেশের শক্তিশালী ব্যাটিং ইউনিটের পরিচয় বহন করে।
প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ড ২৮৬ রানে অলআউট হয়েছিল। ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথে পিচটি ক্রমশ স্পিন সহায়ক হয়ে উঠছে বলে জানা গেছে। এই লিড এবং পিচের ঘূর্ণন আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।