অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে পারিবারিক ব্যবসায় অংশীদার করার প্রলোভন দেখিয়ে ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলাটি নিয়ে সম্প্রতি নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে রোববার সন্ধ্যায় তিনি ও তার ভাই আলিসান চৌধুরী ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন এবং পরে জামিন পান। মামলার বাদী আমিরুল ইসলাম এ বছরের মার্চে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
মামলাই নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যে সোমবার সকালে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি দীর্ঘ বিবৃতি প্রকাশ করে মেহজাবীন অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেন। তিনি জানান, গত নয় মাসে তিনি এই মামলার বিষয়ে কিছুই জানতেন না, কারণ অভিযোগকারী তার সঠিক ফোন নম্বর বা ঠিকানা পুলিশ বা আদালতের কাছে দেননি। ফলে কোনো নোটিশ, কল বা কাগজপত্র তার হাতে পৌঁছায়নি।
বিবৃতিতে মেহজাবীন উল্লেখ করেন, অভিযোগকারীর সঙ্গে তার কোনো আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ নেই। তিনি দাবি করেন, অভিযোগকারী ২০১৬ সাল থেকে তার সঙ্গে ব্যবসা করতেন বলে যে কথা বলেছেন, তার সমর্থনে একটি মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, স্ক্রিনশট কিংবা কোনো ধরনের নথি দেখাতে পারেননি। ২৭ লাখ টাকা প্রদানের অভিযোগ থাকলেও কোনো ব্যাংক ট্রান্সফার, চেক, বিকাশ, রশিদ বা লিখিত চুক্তির মতো কোনো প্রমাণ নেই বলেও জানান তিনি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছিল, গত ১১ ফেব্রুয়ারি পাওনা টাকা চাইতে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাই তাকে হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে ডেকে নিয়ে হুমকি দেন। এ দাবিকে ‘সম্পূর্ণ মনগড়া’ উল্লেখ করে মেহজাবীন বলেন, অভিযোগকারী রেস্টুরেন্ট বা পথের কোনো সিসিটিভি ফুটেজ, কোনো সাক্ষী বা প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি যদিও হাতিরঝিল ঢাকার সবচেয়ে সিসিটিভি-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর একটি।
তিনি আরও দাবি করেন, অভিযোগকারীর ফোন নম্বর ও তার আইনজীবীর নম্বরও খবর প্রকাশের পর থেকে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এতে মামলার উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মেহজাবীন বলেন, ১৫ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করে গড়া ক্যারিয়ারের মাঝেও এ ধরনের অভিযোগের জবাব দিতে হচ্ছে যা তার জন্য সবচেয়ে কষ্টকর। তিনি অনুরোধ জানান, কোনো ধরনের ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ না করে আইনের প্রতি আস্থা রাখতে। তার বিশ্বাস, আদালতে খুব দ্রুতই সত্য প্রকাশ পাবে।