জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর ঢাকার কেরানীগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল হয়েছে।
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় রায় পড়া শুরু হয়। দণ্ড ঘোষণার মধ্য দিয়ে বেলা ২টা ৫৪ মিনিটে রায় শেষ হয়।
এই রায় ঘিরে কেরানীগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছেন যুবদল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও যুবশক্তিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। রায় ঘোষণার পর কদমতলী লায়ন শপার্স বিপণিবিতানের সামনে তারা জড়ো হন। এ সময় দলের নেতাকর্মীরা মিষ্টি খেয়ে উল্লাস ও কোলাকুলি করেন। পরে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এটি কদমতলী গোলচত্বর এলাকা পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আনদোলনের আহ্বায়ক আল আমিন মিনহাজ বলেন, ফ্যাসিস্ট ও খুনি হাসিনা শিশু বাচ্চা থেকে শুরু করে শত শত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছেন। আজ তার ফাঁসির আদেশ হয়েছে। এ রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইতিহাস স্থাপন হয়েছে। কোনো ফ্যাসিস্ট, কোনো খুনি দেশের মানুষকে অত্যাচার করে টিকে থাকতে পারবেন না।