চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন ২৪ বছর বয়সি এক তরুণীকে গত এক মাস ধরে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ঘটে এ ন্যক্কারজনক ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার হওয়া তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তারের নজরে আসে।
উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আনোয়ারা প্রধান সমন্বয়কারী লায়ন মোহাম্মদ উল্লাহ মাহমুদের সহায়তায় রবিবার ওই তরুণীকে উদ্ধার করে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে চট্টগ্রাম মেডিকল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় একমাস ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী এই তরুণী গ্রামে ঘোরাফেরা করতে দেখছেন স্থানীয়রা। তবে, মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় এই নারী কোথা থেকে এসেছেন, কী পরিচয়, কেউ জানে না। কয়েকদিন ধরে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বলে জানতে পারেন তারা। ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
তারা বলেন, এ ধরনের নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে এলাকায় নিরাপত্তাহীনতা বাড়তে পারে।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জসিম উদ্দিন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর নির্দেশনায় ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এনসিপির আনোয়ারা উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী লায়ন মোহাম্মদ উল্লাহ মাহমুদ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে ইউএনওকে অবহিত করি। পরে প্রশাসনের সহয়তায় উদ্ধার করে প্রথমে আনোয়ারা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। এমন জঘন্য কাজের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী জানান, দুপুরে মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে হাসপাতালে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে পুলিশের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ঘটনায় জড়িতদেরকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, উদ্ধারকৃত তরুণীর সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।