সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের নাইন্দ্যা গ্রামের কয়েকজন ভুক্তভোগী পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলে থেকে বসবাস করে আসছেন। এমনকি সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত প্রাপ্তও হয়েছে। এই পরিবারগুলো সহজ সরল হওয়ায় একটি কুচক্রীমহল সেটেলমেন্টের সময় অসহায় পরিবারগুলোর বন্দোবস্ত জমি নিজেদের নামে অন্তর্ভুক্ত করে এই অসহায় পরিবারগুলোকে ভিটেছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে। তাই ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অসহায় হয়ে শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবে এসে একটি সংবাদ সম্মেলন করে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিকেশ চন্দ্র দাস।
তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, আমাদের বর্তমান বসত বাড়িটি পিতামহের সময় থেকে আমরা নির্বিবাদ ভোগ-দখল করে আসছি। কোনোরূপ প্রতিবন্ধকতার সম্মূখিন হইনি। কিন্তু জীবন-জীবিকার তাগিদে আমি এবং আমার অপর অংশিদারগণ দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও রাজধানী শহর ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগে আমাদের দীর্ঘদিনের স্বত্ত্বদখলীয় বসত বাড়িটি যোগাযোগিমূলে চলমান আর.এস রেকর্ড কালে আমাদের পার্শ্ববর্তী মেঘনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কালিকান্ত দাস নামের জনৈক ব্যক্তি রেকর্ড সৃজন করে মারা গেলে উক্ত কালিকান্ত দাসের উত্তরাধিকার সুবাস দাস ও সুদ্বীপ দাসের নিকট থেকে ভক্ত দাস গং (তিন জন), পিতা- মৃত মহানন্দ দাস, গ্রাম- নাইন্দা, উপজেলা- শাল্লা, জেলা- সুনামগঞ্জ গণ আমাদের স্বত্ব-দখলীয় বাড়িটি রেজিস্ট্রী দলিল মূলে খরিদ করিয়া আমাদেরকে চরম হুমকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে। বর্তমানে ভক্ত দাস গং-গণ আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করছে এবং আমাদের স্বত্ব-দখলীয় বসত বাড়ি হতে আমাদের নির্মিত ঘর-দরজা অপসারণ করার প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে আসছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।