ফিফা বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ২০২৬ সালের আসরে পড়েছে গ্রুপ ‘জে’ তে। যেখানে লিওনেল মেসিরা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছেন অস্ট্রিয়া, আলজেরিয়া ও জর্ডানকে। এটিকে তুলনামূলকভাবে সহজ গ্রুপ হিসেবে ধরা হলেও, গ্রুপসেরা হয়ে শেষ বত্রিশে গেলে লিওনেল স্কালোনির দলকে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। প্রতিবেদন মুন্দো দেপোর্তিভোর।
নকআউটে প্রবেশ করলেই আর্জেন্টিনাকে মুখোমুখি হতে হবে স্পেন বা উরুগুয়ের। গ্রুপ ‘এইচ’ এর রানার্স-আপ দলের মুখোমুখি হতে হবে মেসিদের। এই গ্রুপে স্পেন আর উরুগুয়ে ছাড়া আছে কেপ ভার্দে ও সৌদি আরব। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে এই সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরেই মিশন শুরু করেছিল লিওনেল স্কালোনির দল।
আসরে আর্জেন্টিনার শিরোপা ধরে রাখার লড়াই শুরু হবে আলজেরিয়ার বিপক্ষে। কাগজে-কলমে প্রতিপক্ষ তুলনামূলক সহজ হলেও, আর্জেন্টিনা মনে রাখবে গত বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সৌদির কথা। আলজেরিয়া আফ্রিকান বাছাইপর্বে গ্রুপজয়ী হয়ে সহজেই বিশ্বকাপে এসেছে। দলে রয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির রায়ান আইত-নুরি এবং সাবেক প্রিমিয়ার লিগ তারকা রিয়াদ মাহরেজসহ বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ফুটবলার।
তবে আর্জেন্টিনার গ্রুপের সবচেয়ে শক্ত প্রতিপক্ষ অস্ট্রিয়া। গ্রুপের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে তারাই। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দলটির হয়ে আক্রমণভাগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্কো আরনাউটোভিচ।পাশাপাশি রয়েছেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের মার্সেল সাবিৎসার এবং বায়ার্ন মিউনিখের কোনরাড লাইমারের মতো ইউরোপসেরা ক্লাবের ফুটবলাররা।
গ্রুপ পর্যায়ে আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচ জর্ডানের বিপক্ষে। এশিয়ান বাছাইপর্বের শেষ ধাপে দক্ষিণ কোরিয়ার পেছনে থেকে রানার্স-আপ হয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে তারা। জর্ডানের প্রধান শক্তি তাদের আক্রমণভাগ।
কাতারে শিরোপা জয়ের পর আর্জেন্টিনার এবারের লক্ষ্য চতুর্থ বিশ্বকাপ এবং টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ফুটবল ইতিহাসে কেবল ইতালি (১৯৩৪-৩৮) এবং ব্রাজিলই (১৯৫৮-৬২) যা করতে পেরেছে। এর পর গত ৬৪ বছরে কোনো দলই আর এই কীর্তি গড়তে পারেনি।