টেস্টে দাপুটে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করলেও টি–টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে হার টাইগার শিবিরে আনে হতাশা। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল লিটন দাসের দল। তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে স্বাগতিকরা আয়ারল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে টি–টোয়েন্টি সিরিজও নিজেদের করে নিল।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করে আয়ারল্যান্ড। প্রথম চার ওভারে আসে ৩৮ রান। কিন্তু টিম টেক্টর মাত্র ১৭ রানে ফিরে গেলে থমকে যায় ইনিংস। এরপর হ্যারি টেক্টর (৫) এবং লরকান ট্যাকার (১) দ্রুত বিদায় নিলে ৫১ রানে তিন উইকেট হারায় অতিথিরা।
এক প্রান্ত আগলে দাঁড়িয়ে পল স্টার্লিং লড়াই করার চেষ্টা চালালেও রিশাদ হোসেনের ঘূর্ণিতে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দশম ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফারকে বোল্ড করার পর ১২তম ওভারে স্টার্লিংকেও ফেরান রিশাদ। ২৭ বলের ইনিংসে স্টার্লিং করেন ৩৮ রান। নিজের শেষ ওভারে তিনি তুলে নেন গ্যারেথ ডেলানিকেও (১০)। শেষ দিকে ডকরেল (১৯), মার্ক অ্যাডওয়ার (৮), হামফ্রেস (১) ও হোয়াইট (৫) চেষ্টা করলেও দলকে বড় স্কোরে নিতে পারেননি কেউই। সবমিলিয়ে ১১৭ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে উজ্জ্বল ছিলেন রিশাদ ও মোস্তাফিজ। দুজনই নেন তিনটি করে উইকেট। শরিফুল ইসলাম শিকার করেন দুই উইকেট, আর একটি করে উইকেট দখল করেন শেখ মাহেদী ও সাইফউদ্দিন।
লক্ষ্য ছিল মাত্র ১১৮। তাই শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মন দেন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও সাইফ হাসান। তবে বড় ইনিংস না খেলেই সাইফ ১৯ রানে আউট হন। এরপর লিটন কুমার দাসও ৭ রানে ফিরে গেলে চাপ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু ওপেনার তানজিদ তামিম সেই চাপ একাই সামলে নেন।
পারভেজ ইমনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি নেমে পড়েন লক্ষ্য তাড়ায়। ৩৫ বলেই ফিফটি তুলে নেন তামিম। যা তার আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় ইনিংস। অপরাজিত ৫৫ রান করে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান তিনি। ইমনও খেলেন ২৬ বলে কার্যকরী ৩৩ রান।
অবশেষে ৩৮ বল হাতে রেখে এবং মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
দাপুটে ব্যাটিং, শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিং আর তানজিদের বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করা ব্যাটিং। সব মিলিয়ে লিটন বাহিনী জিতে নেয় টি–টোয়েন্টি সিরিজও।