মঙ্গলবার ৫ আগস্ট ২০২৫ ২১ শ্রাবণ ১৪৩২
মঙ্গলবার ৫ আগস্ট ২০২৫
পানির অভাবে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে আমন বীজ
ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির!
মাহমুদ হাসান, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
প্রকাশ: বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২, ৩:০০ PM
ভরা বর্ষায়ও পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা মিলছে না, আর তাই পানি নেই অধিকাংশ খাল-বিলে। যার ফলে আমন চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। পানি সংকটে শুকিয়ে গেছে ফসলি জমি,মাঠেই নষ্ট হচ্ছে অনেক বীজ। দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কয়েকটি আমন আবাদ করা জমি ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

শুধু রাঙ্গাবালীর নয়, একই সম্যসা ভুগছেন উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের কৃষকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে আমন ধান আবাদ করা হয়। কেননা এই সময়ে বৃষ্টির পানি থাকে। কিন্তু এবছর একেবারে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। টানা অনাবৃষ্টির কারণে পানি সংকট দেখা দিয়েছে খাল-বিল ও কৃষি জমিতে। কেউ কেউ পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি সেচ করে বীজতলা তৈরী করছেন। আবার পানি সংকটে কারো কারো রোপা বীজ মরে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও রৌদ্রে জমি ফেটে চৌচির। কৃষকরা বলছেন, আষাঢ়ের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত আমন ধানের বীজ জমিতে রোপণ করা হয়। তবে, চলতি আমন মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় তারা চাষাবাদ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন।

মূলত বর্ষাকালে বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে কৃষকেরা আমন চাষ করে থাকেন। সাধারণত বীজতলা তৈরি হওয়া চারা ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে জমিতে লাগানো হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ২৮ হাজার ২৭৮ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৮ হেক্টর হাইব্রীড, ৮২৫ হেক্টর উফসি, স্থানীয় জাতের ৪২০ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের আমন চাষী বেল্লাল মিয়া বলেন, ২ একর জমিতে আমন ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় এখনও চারা রোপণ এবং জমি প্রস্তুত করতে পারেননি । বৃষ্টি না হলে সেচের পানি দিয়ে জমি প্রস্তুত করতে হবে।

মৌডুবি ইউনিয়নের ভুইয়াকান্দা গ্রামের নাঈম বলেন, আষাঢ় শেষে বীজ তোলার উপযুক্ত সময় কিন্তু শ্রাবন মাস শেষ হতে চলছে, বৃষ্টি না হওয়ায় এবার আমন ধানের ক্ষেত এখনো প্রস্তুত করতে পারিনি। এদিকে বীজতলা ও রোপনের জমিগুলো রোদে ফেটে চৌচির হয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সেচ দিলেও আমন আবাদ প্রকৃতির উপরই নির্ভর করে। তাই বৃষ্টিই আমাদের ভরসা। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহম্মেদ বলেন, ‘আমনের ভরা মৌসুম চলছে কিন্তু বৃষ্টি না থাকায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছে। বৃষ্টি না থাকার কারণে অধিকাংশ কৃষকের বীজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। যাদের সামর্থ আছে অন্তত সেচের মাধ্যমে হলেও বীজগুলো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা। যদিও সেচের মাধ্যমে আমনের চাষ করা অনেক জটিল। তাছাড়া আমন আবাদ দেড়িতে হলে এর প্রভাব গিয়ে তরমুজের চাষে পরতে পারে।’


-বাবু/শোভা
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত