লক্ষ্মীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মো. হোসেন আহমেদ (৫৫) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২ টার দিকে জেলার সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের রমাপুর গ্রামের অলি ব্রিকফিল্ডের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হোসেন আহমেদ ওই এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে।
আহতরা হলেন, নিহত হোসেন আহমেদের ভাই আমির হোসেন, তার ভাগিনা মনির হোসেন, আমির হোসেনের দুই ছেলে আকরাম হোসেন (২২) ও নাজমুল হোসেন (১৮)।
এ ঘটনায় আবদুর রহিম, মেহেদি হাসান বাবুল ও জাহানারা বেগম নামে তিনজনকে আটক করেছে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, রমাপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার মাষ্টারের ছেলে মোরশেদ আলমের সাথে মৃত ইউনুস মাস্টারের ছেলেদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। বৃহস্পতিবার সকালে ইউনুস মাস্টারের ছেলে সাইফুর রহমান দুলাল, সাইদুর রহমান মিলন ও লিটন তাদের সহযোদের নিয়ে বিরোধকৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করতে যায়। এতে মৃত সাত্তার মাস্টারের ওয়ারিশরা বাঁধা দেয়।
বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত মৃত ইউনুস মাষ্টারের ছেলেরা অস্ত্র-স্বস্ত্রে নিয়ে সাত্তার মাস্টারের ওয়াশিশদের উপর হামলা করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
এতে মৃত সাত্তার মাস্টারের মেয়ের জামাতা হোসেন আহমেদসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়। তদের মধ্যে হোসেন আহমেদকে হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হয়।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীম মো. আফজাল বলেন, নিহত হোসেন আহমেদকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আরও চারজনকে আনা হয়। এদের সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের অন্যত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, নিহত হোসেন আহমেদের গলায় এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিলো। এছাড়া আহতদের শরীরেও বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাত রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. জহিরুল আলম বলেন, নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
-বাবু/শোভা