লঘুচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে উপকূলজুড়ে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙা বেড়িবাধঁ দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে থমকে রয়েছে জনজীবন।
রোববার সকাল থেকে একটানা মাঝারি ও ভারী বর্ষণ হচ্ছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে। বইছে থেমে থেমে দমকা বাতাস। সংকেত থাকায় বন্ধ রয়েছে লঞ্চ-স্পীডবোট।
দেখা গেছে, নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়েছে ৩ ফুটের বেশি। সকাল ৯ টা থেকে চলা এ জোয়ারে ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার মধ্য চালিতাবুনিয়া, গরুভাঙা, চিনাবুনিয়া, চরআন্ডা ও কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট গ্রামসহ বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা। গত রাতের জোয়ারেও ওইসব এলাকা প্লাবিত হয়। জোয়ারের এ সময়ে পানিবন্দি হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্ভোগ কাটায় সেখানকার হাজারও মানুষ।
কোড়ালিয়া-বোয়ালিয়া স্পীডবোট কাউন্টার ইনচার্জ মো. কালু মৃধা জানান, ‘ গতকাল রাত থেকে আবহাওয়া খারাব। ৩ নম্বর সংকেত দেয়া হয়েছে। আগুনমুখা নদী উত্তাল। এ অবস্থায় আমরা সকাল থেকে স্পীডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছি। দুই পাড়ের ঘাটে অনেক যাত্রী এবং অসুস্থ রোগী আছে। আবহাওয়া যদি স্বাভাবিক হয় তাহলে যাত্রী পারাপার করবো।’
এদিকে মাছ শিকারে সমুদ্রে যাওয়া জেলেরা ঢেউয়ের তোড়ে উত্তাল সাগরে টিকতে না পেরে তীরে ফিরতে শুরু করেছে। জানা যায়, ইতোমধ্যে চরমোন্তাজ সুইস ঘাট, সোনারচর, মৌডুবিসহ কয়েকটি এলাকার তীরে এসে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে ট্রলার নিয়ে মাঝিমাল্লারা। তবে এখনও উত্তাল সাগরে অনেক জেলে রয়েছে মাছ শিকারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে পায়রাসহ সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
-বাবু/ফাতেমা