উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর সাত্তার এর কোন বিকল্প নেই বলে মনে করছেন ইউনিয়নবাসী। নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নটির উন্নয়ন চোখে দেখার মত উন্নয়ন। এতে ইউনিয়নবাসী ও ভাতা ভোগীরা অনেক খুশি। ইউনিয়নের সুদ ও ঘুষখোর মানুষদেরকে ভোট দিবে না বলে ও তারা জানান।
স্বরমুশিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নৌকার মাঝি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর সাত্তার বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা হাতকে শক্তিশালী করার জন্য উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো।
উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নটি ধান ও সবজি ফসলের জন্য বিখ্যাত। এ ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবি। তারা কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে এবং মাঠে পরিশ্রম করে ফসল ফলায়। উক্ত ইউনিয়নের লোক সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার, ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার। এর নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ বছর যাবৎ সফল চেয়ারম্যান আব্দুর সাত্তার। তিনি দীর্ঘদিন যাবত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জনগণের সমর্থন নিয়ে পূনরায় ২০২১ সাল থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে জনগণকে সাথে নিয়ে গ্রাম গুলোতে উন্নয়ন মূলক কাজ করছেন, তাই এই ইউনিয়নের জনগণ তাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে আবার চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। গ্রামের ছোট ছোট রাস্তায় আরসিসি পাইপ, ইটের সোলিং, ড্রেন, কালভার্ট, গাইড ওয়াল, নলকূপ, মাটির রাস্তা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, ভিজিডির খাদ্য সহায়তা, সেনেটারী ল্যাট্রিন, মাদ্রাসা স্কুল কলেজ গ্যারেজ, হাট-বাজারের উন্নয়ন, করোনা কালীন সময়ে মাস্ক বিতরণ, হাত ধৌয়ার জন্য হ্যান্ড সেনেটারী এবং সচেতনা মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। যাহা অতিতে কোন চেয়ারম্যানদের এসব কর্মকান্ড করতে দেখা যায়নি। ধনী-দরিদ্র সব মানুষই তার কাছে সমান বলে ইউনিয়নে হাজারো মানুষ জানান।
সরেজমিনে ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে তার উন্নয়নের চিত্রগুলো। ইউনিয়নের করিম উদ্দিন, চুন্নু মিয়া, দিলবর হোসেন, আকবর আলী, ভ্যান চালক শাহ জাহান, ইজি চালক তোহা মিয়া, ট্রাক চালক সিরাজুল ইসলাম, কৃষক দানিজ উদ্দিন, ফরিদ মিয়া, বুলবুল হোসেন, হারেজ উদ্দিন, কালু মিয়া, ঠান্ডা মিয়া সহ আরো অনেকে বলেন, আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারমান বংশীয় চেয়ারম্যান তার মন প্রাণ সব কিছু ভাল।
দীর্ঘ বছর ধরে ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন । কিন্তু কিছু লোকের প্রতি হিংসায় মামলা মোকর্দ্দমায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা কিছুই করতে পারেননি। ভাল কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় বাঁধা বিঘ্ন হতে হয়েছে। বিধবা সখিনা বেওয়া, জোসনা বেওয়া, আলেফা বেওয়া, লিপি বেওয়া, জহুরা বেওয়ার মত অনেকে বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের ছেলের মত রাস্তা ঘাটে ডাকলে কথা বলে। তারা ধনী মানুষ সুদ খায় না ঘুষ খায় না, মানুষকে দান করে।
সামনে ভোট আসুক আমরা আবারো ভোটে বুঝিয়ে দিব সুদখোর-ঘুষখোর মানুষদের ভোট নাই। উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুর সাত্তার এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছেন ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ ও মানুষের পাশে থাকার জন্য। আমার সাধ্য মত চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেখার মালিক আল্লাহ। যে কয়েক দিন বেঁচে আছি তত দিন যেন জনগনের পাশে থেকে ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারি। এটিই আমার আশা, ভোট জনগণের হাতে যাকে খুশি তাকে দিবে, তবে আমি ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের পাশে থেকে উপকারের চেষ্টা করছি। তবে জনগণ আমার কথায় যাতে কষ্ট কষ্ট না পায় তার জন্য সর্বক্ষণিক চেষ্টা চালাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আবারো ইউপি নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি, এবার শিক্ষা ,স্বাস্থ ও কৃষির উন্নয়ন ঘটিয়ে আমার ইউনিয়নকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো, ইনশআল্লাহ।
-বাবু/শোভা