বরিশাল নগরীর বেলতলা বাজারে ডিম কিনতে এসে চমকে গেলেন গৃহিণী তানজিলা আক্তার। কেননা ডিমের হালি এক লাফে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। চাল কিনতে গিয়ে তিনি নির্বাক। চালের মূল্যও বস্তা প্রতি বেড়েছে দেড় শ টাকা।
এভাবে প্রতিটি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে হিসেবে মেলাতে না পেড়ে হিমশিম খাচ্ছেন তানজিলার মতো নগরের অনেক নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে অধিকাংশ পণ্যের দাম বাড়তি দেখা গেছে।
নগরের চৌমাথা ও বটতলা বাজারে ২০টি ডিম পাইকারিভাবে দুই দিন আগে ২২৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। অলিগলিতে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা দরে। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯০ টাকার ওপরে। এ ছাড়া সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩১০ টাকা। গত সপ্তাহে যা ছিল ২৮০ টাকা দর।
সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া রুহুল আমিন জানান, কয়েক দিন আগেও ডিমের হালি ছিল ৪০ টাকা। তা কি করে ৫২ টাকায় পৌঁছাল? তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘বাজারে এলে তো হিসাব মেলানো যাচ্ছে না। কারণ পেনশনের টাকা তো বাড়েনি।’
চৌমাথা মাছের বাজার দেখা গেছে আরও অস্থির। দেশি চিংড়ি প্রতি কেজি ৯০০ টাকার নিচে মিলছে না। যে কারণে বাধ্য হয়ে বাগদা চিংড়ি ৬০০ টাকা কেজিতে কিনছেন। জাটকা কেজি ৫০০ টাকা। এলসি সাইজের (৯০০ গ্রাম) ইলিশ প্রতি কেজি হাজার টাকা ছুঁইছুঁই। ওই বাজারে মাছ বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, ‘পানি বাড়ায় মাছ কম, তাই দাম বেশি।’
বাজারে সবজির দামও বাড়ছে। টানা বৃষ্টিতে দাম বেড়ে লাউ শাক ৫০ টাকা আঁটি, লাল শাক ২০ টাকা, ডাটা শাক ২০ টাকা, পাট শাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ পিচ ৬০ টাকা, শসা কেজি ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বটতলা বাজারের চাল বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, ‘২৫ কেজির প্রতি বস্তা চালে দাম বেড়েছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত।’
বর্তমান পরিস্থিতে সচেতন সমাজের নাগরিক প্রতিনিধিরা বলেন, সরকারের উচিত দেশের জনগনের জীবন মানের দিকে নজর রাখা, শুধু উন্নয়ন ই দিয়েই দেশের মানুষকে শান্তি দেয়া যাবেনা দ্রব্য মূল্য না কমিয়ে আনতে পারলে।
-বাবু/ফাতেমা