বেনাপোলের আমড়াখালী গ্রামে সন্ত্রাসী হামলা বোমাবাজি এবং ছিনতাই এর ঘটনায় অভিযোগে আটক মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরলে তাদের আচারণে শঙ্কিত গ্রামের কয়েকটি পরিবার।
গত ১০ই আগষ্ট রাতের সন্ত্রাসী হামলায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ মারফত জানা যায় ঐদিন রাত ৯টায় রাকিব হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম এবং কাদের হোসেন আমড়াখালী গেট হতে বাসায় যাওয়ার পথিমধ্যে রেল গেট সংলগ্ন এলাকায় পৌছাইলে হঠাৎ চারপাশ থেকে স্থানীয় চিহ্নিত ৬জন মাদক ব্যবসায়ী সহ কয়েকজন তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসী হামলা ও ছিনতাই কালীন তারা সেখানে ২টি বোমা হামলাও করে। এঘটনায় ২জন গুরুতর আহত হয়ে শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। ঘটনার পরপরই বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ সেখান থেকে বোমা হামলার আলামত জব্দ করেন। বোমা হামলার সময় আহত ব্যাক্তিরা যাদেরকে খুব কাছ থেকে চিনতে পারেন তারা হলেন- ১| মোঃ বাবু ওরফে ফেন্সী বাবু(৩৬), ২| মোঃ শিমুল হোসেন(২৬), ৩| মোঃ আরমান(৩২), ৪| মাদক সম্রাট ইমরান ৫| মোঃ আমির হোসেন(৩০), ৬| শিশু পাচারে সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ মুক্তার হোসেন(৪৫)। এ সকল ব্যাক্তিদ্বয়ের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় নানা রকম মাদক ব্যবসা, চোরাচালান সহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসীমূলক কর্মকান্ড ও দেশ বিরোধী মামলা আছে।
আমড়াখালী গ্রামের হারুন বলেন, আমার ভাইদের উপর তারা অমানবিক হামলা চালায়, এখন সকলে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার এলাকায় ফিরে আমাদেরকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমি মামলার বাদী হওয়ায় নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এমতাবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট এবিষয়ে কঠোর হস্তক্ষেপ দাবী করছি।
আমড়াখালী গ্রামবাসী এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে এলাকার যুব সমাজকে রক্ষা করতে ১১০ জন গ্রামবাসীর স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদন যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির দপ্তরে আবেদন করেন বলে জানান আমড়াখালী এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে বেনাপোলের পোর্ট থানার এস আই তৌফিকুর রহমান বলেন, আমড়াখালী ঐ ঘটনায় হারুন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করেছিলেন পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে সেটি মামলা হয় এবং ২জন আসামী গ্রেফতার হয় এবং বাকী সকলে পলাতক ছিলো। এখন তারা সকলে জামিনে আছে। এ ঘটনায় ঐ এলাকায় আমাদের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে।
-বাবু/ফাতেমা