লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাদক পাচারে বাধা দেয়ায় মাহবুবুল আলম (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ওই ব্যক্তি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় গত শনিবার (১৩ আগষ্ট) মাহবুবুল আলমের বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তবে অভিযোগ দেয়ার ৫দিন পেড়িয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এর আগে গত বুধবার (১০ আগষ্ট) উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার দোলাপাড়া এলাকার বিপুল হোসেন(২২), শাহাজান আলী(৫৩), রতন(২৫), ফরিদুল ইসলাম ফরিদ(৩০), নেহাল উদ্দিন(৫৫), নূরনবী(২৫), সাফিউল(২৬), সাজু মিয়া(২৪), আলমগীর(২২)।
জানা গেছে, অভিযুক্তরা দীর্ঘ দিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। এ নিয়ে এলাকার স্থানীয়রা বাধা দিলেও তারা কোন তোয়াক্কা করে না। এমতাবস্থায় তারা গত ১০ আগষ্ট রাতে একটি অটোবাইকে মাদক নিয়ে যাচ্ছিলো। আইয়ুব আলী, ছেলে মাহবুবুল আলম ও ভাতিজা জানে আলম অটোবাইকটি আটক করে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলকে খবর দেন। চেয়ারম্যান এসে অটোবাইকটি তল্লাশি করতে বলে। আইয়ুব আলী অটো বাইক তল্লাশি করে কয়েক বস্তা ফেন্সিডিল পায়। এর এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে চাইনিজ কুড়াল ও ছোড়া নিয়ে এসে আইয়ুব আলী, মাহবুবুল আলম ও জানে আলমের উপর হামলা চালায়৷ এ সময় তাদের একজন মাহবুবুল আলমের মাথায় কুড়াল দিয়ে কোপায়। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। তারপর অভিযুক্তরা ফেন্সিডিলের বস্তা গুলো নিয়ে পালিয়ে যায়৷ তবে একটি বস্তাতে থাকা ৩৫ টি বোতল রেখে যায়। পরে চেয়ারম্যানসহ আরও কয়েকজন মাহবুবুল আলমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আইয়ুব আলী বলেন, তারা আমার ছেলের মাথায় কুপিয়েছে। সে এখনো হাসপাতালে। তার মাথায় ৮টি সেলাই। সে কিছু খেতে পারেনা৷ খেলেই বমি করে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ এখনো কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আসামী ঘুরে বেড়াচ্ছে দেধারচ্ছে। পুলিশ তাদের ধরছে না। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিপুল হোসেনের মোবাইল ফোনে 01722172874 একাধিক কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়৷
এ বিষয়ে বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, আমি খবর পেয়ে সেখানে যাই। অটোবাইক থেকে ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়৷ এ সময় বিপুল নামের ছেলেটি একটি কুড়াল দিয়ে মাহবুবুলের মাথায় কোপ দেয়। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তারা চারিদিক থেকে ছোড়া নিয়ে ঘিরে রেখেছিলো। আমাকেও ছাড়তো না ইচ্ছে করলে আমাকেও মেরে দিতো। হয়তো মানবতার দেখিয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ তবে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
-বাবু/শোভা