বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ( লেমুয়া-গুয়াবাড়িয়া ) মধ্যবর্তী বউডোবা খালটি বাধ মুক্ত ও বিশুদ্ধ পানি পাওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। “বাধ মুক্ত খাল চাই, বিশুদ্ধ পানি চাই” এই স্লোগান করে গত ২৫ আগস্ট বিকেলে গুয়াবাড়িয়া বান্দেরহাটের প্রধান সড়কের উপর মানববন্ধন করেন এলাকাবাসি। মানববন্ধনের আগে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসি বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে ফেলেছে।
বিডিআর অবসরপ্রাপ্ত হাবীবুর রহমান বলেন, খালটির দুই পাশের জমি মালিকদের কাছ থেকে চুক্তিতে ইজার নেন বান্দেরহাট বহুমূখী সমবায় মৎস প্রকল্পের আ: হান্নান খান ও তার সাথে অনেকেই অংশীদার রয়েছেন। আ: হান্নান খান সাথে আবুল খায়ের মৃধা ও সেলিম সরদার যোগসাজিয়ে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
কিন্তু তাদের ইজারা চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও তারা প্রভাব খাটিয়ে দখল করে রেখেছে। খালের দুই পাড়ে কয়েকশো পরিবারের বসতি। এই খালের পানি সবাই ব্যবহার করে কিন্তু যারা খালটি দখল করে মাছ চাষ করে তারা সার, কিটনাশক সহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ব্যবহারের ফলে পানিদুষিত হয়ে যায়। এই দুষিত পানি দ্বারা রান্না, গোসল সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের ফলে রোগ বালাই হয় ।
বিডিআর অবসরপ্রাপ্ত আঃ মান্নান হাওলাদার বলেন, প্রভাবশালী একটি মহল খালটিতে বাঁধদিয়ে মাছ চাষ করে, পানি ময়লা আর্বজান ও দুরগন্ধ থাকে যা ব্যবহার যোগ্য না। খালটির সামান্য কিছু অংশ খাস হলেও বেশির ভাগ অংশের মালিকানা রয়েছে ।। যাতায়েত করার রাস্তাটিও বেশি অংশ ভেঙ্গে গেছে। তারা দুই পাড়ের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। খালটি দখলমুক্ত ও দুষণমুক্ত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, খোকন তালুকদার ,কাজী মাসুদুর রহমান, মোঃ শাহে আলম বেপারী, মনির হাওলাদার, আবুবকর তালুকদার, মিজান হাওলাদার, কাজী আবু হানিফ সহ অনেকেই।
আ: হান্নান খান বলেন, বান্দেরহাট বহুমূখী সমবায় মৎস প্রকল্পে মাছ চাষের সময়, মৎস প্রকল্পের সদস্য জমির মালিকরাও ছিল। প্রতি বছর জমির মালিকদের সাথে চুক্তি হত, যে সবচেয়ে টাকা দিত তার কাছেই ইজারা দেওয়া হত। জমি মালিকরা যদি মাছ চাষের জন্য ইজারা দেয় তাহলে প্রকল্প হবে যার মন চায় সে নিবে এখানে আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্তু বিডিআর অবসরপ্রাপ্ত হাবীবুর রহমান তো এই প্রকল্পের সদস্য । এখানে কেউ প্রভাব খাটিয়ে খাল ও মালিকানা জমি দখল করেনি। কেউ যদি বলে তা মিথ্যা ও বানোয়াট ।
আবুল খায়ের মৃধা বলেন, আমি এই প্রকল্পের সাথে জরিত না এমনকি সদস্যও না। আমি কেন তাদের সাথে যোগসাজিয়ে কাজ করবো। যারা আমার নামে অভিযোগ করেছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সেলিম সরদার এর মুঠোফোনে কল দিলে মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বকুল চন্দ্র কবিরাজ জানান, সরকারি খাল বাঁধ দিয়ে কেউ চাষাবাধ করতে পারবেনা। যাদি খালের সাথে মালিকানা জমির অংশ থাকে তাহলে সেখানে সার্ভেয়ার পাঠিয়ে বিষয়টি দেখা হবে।
-বাবু/শোভা
দোয়া আর নফল ইবাদতে হোক নববর্ষের সূচনা
পেলের শেষ শয্যা হবে ১৪ তলা ভবনে
দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন সালাহউদ্দিন
নতুন বছরে জঙ্গি মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত : ডিজি
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আর নেই
ফিফা বিশ্বকাপ এবং আমাদের অর্জন
খাল ভরাট হয়ে অনাবাদি ১০০ বিঘা জমি
রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক লীগের আনন্দ মিছিল
গণভোটই রুশ-ইউক্রেন সংকটের সমাধান
