নীলফামারীর ডোমারে একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫টি পদে ৫০ লক্ষ টাকার নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বৃহষ্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রমিজ আলমের কাছে উক্ত অভিযোগ তুলে নিয়োগ বন্ধের আবেদন করেন চাকরির পাঁচ আবেদন প্রার্থী।
তারা হলেন, ফজলে রাব্বী,সাহিনা আক্তার বানু, মো. শাহ আলম চৌধুরী, মো. যুবায়ের ইসলাম ও সাহেব আলী।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহায়ক, আয়া ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ পাঁচজন কর্মচারী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গোপনে টাকা নিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। পরিচালনা কমিটি পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থনে লোক দেখানো প্রতিযোগীতার জন্য নিজ নিজ ডামি পরিক্ষার্থী ঠিক করে।
৮সেপ্টেম্বর বিকালে পার্শ্ববর্তী ডিমলা উপজেলায় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরিক্ষা নেওয়ার তারিখ ও সময় নির্ধারণ করেন। নিয়োগ কমিটি তাদের পছন্দের প্রার্থী ছাড়া অন্যেদের পরিক্ষার কথাও জানাননি। আবেদনকারীরা অনৈতিক ভাবে নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধের দাবী করেন।
অভিযোগের পরেও বিকাল ৩টায় নিয়োগ পরিক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও পরিক্ষা শুরু হয় বিকাল পাঁচটায়। লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষার পর রাত ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষনা করা হয়। ফলাফল শুনে আয়া পদের লুৎফুন নাহার বন্নী নামে এক পরিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে স্বজনরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। লুৎফুন নাহারের পরিবারের দাবী ১২ লক্ষ টাকা দিয়েও চাকরি না হওয়ায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমণী কান্ত রায় জানান, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রেক্ষিতে অফিস সহকারী পদে ২২জন, কম্পিউটার অপারেটর পদে ৯জন, অফিস সহায়ক পদে ৬জন, আয়া পদে ১৩জন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ৯জন চাকুরী আবেদন প্রার্থীকে লিখিত পরিক্ষার জন্য ডাকা হয়। টাকা নিয়ে নিয়োগের বিষয়টি তিনি ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবী করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম জানান, অভিযোগকারীরা নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে অভিযোগ করেন। তাই এই মূহুর্তে নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধ করা সম্ভব নয়, তবে তাদের অভিযোগটি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম ফিরোজ চৌধুরী বলেন, নিয়ম মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে। আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে চাপে রাখতে কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রমিজ আলম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
-বাবু/এসআর