বরগুনার আমতলীতে আনাচে-কানাচেতে পোস্টার লাগিয়ে প্রচার করে চলছে, বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করেন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এ কথিত ডাক্তার। উপজেলার আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যেবাহী গাজীপুর বন্দরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। বৈদ্যুতিক পিলারের সাথে আঠা দিয়ে লাগানো হয়েছে কথিত চিকিৎসকের পোস্টার।
সারাদেশ জুরে ভুয়া ডাক্তার এর অভিযান চললেও তারমধ্যে মো. সোলায়মান শরীফ নামে এক ব্যাক্তি ডাক্তার না হয়েও পোস্টার, ব্যান্যারে নিজের নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করে আসছেন প্রায় দশ বছর যাবত। বরিশাল থেকে এল,এম,এ,এফ (জেনারেল ফিজিশিয়ান) যার রেজিষ্ট্রেশন নম্বর (২২৬১)।
পল্লি চিকিৎসক হয়ে নামের আগে ডাক্তার পদবি লাগিয়ে রোগী দেখেন মেডিসিন, মা ও শিশু মেডিসিন, অশ্ব/পাইলস রোগের। তিনি এ সকল রোগের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তার হিসেবে নিজেই জাহির করেছেন এবং পরিচিত দিয়েছেন, পোস্টার ব্যানারের মাধ্যমে গ্রাম গঞ্জে ও হাট-বাজারে। আমতলীর গাজীপুর বন্দর হাইস্কুল রোড তার বাসায় নিয়মিত রোগী দেখেন সকাল ৭-৮টা পর্যন্ত। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার নলুয়াবাগী ইউনিয়নের ঢালীর বাজারে সুয়াইবা মেডিকেল হল নামের একটি ঔষধের ফার্মেসিতে নিয়মিত রোগী দেখেন বিকেল ৪-৮টা পর্যন্ত।
এ বিষয়ে কথিত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডাক্তার মো. সোলায়মান শরীফ বলেন, তিনি দশ বছর যাবত রোগি দেখছেন। প্রতিদিন রোগী দেখার কথা স্বীকারও করেন তিনি। বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যান সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি, গ্রাম ডাক্তার আ. মান্নান হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ যদি ডিগ্রিধারী না হয়েও নামের আগে ডাক্তার বসিয়ে নেন, সেটা আইন বহির্ভূত।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আ. মুনয়েম সাদ বলেন, পল্লি চিকিৎসক হয়ে ডাক্তার লেখার কোন সুযোগ নাই। যদি একরকম হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাবু/জাহিদ