হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কারুশিল্পীরা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুর হবে ১লা নভেম্বর। উৎসব চলবে ৫দিন ধরে।
আর এই উৎসবকে ঘিরে দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় বগুড়ার নন্দীগ্রামেও চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। সেই সঙ্গে প্রতিবারের ন্যায় প্রতিটি পূজা মণ্ডপের সামনে নানান সাজে নির্মাণ করা হচ্ছে এক একটি গেট। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এবার উপজেলার ১টি পৌরসভা সহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৪৬টি স্থানে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সেগুলো হলো ধুন্দার, দাসগ্রাম, বুড়ইল, দামাপাড়া, রনবাঘা বাজার, আলাইপুর উত্তর পাড়া, হাটুয়া, ক্ষুদ্র সিমলা, উত্তর কচুগাড়ী, পারনাগর কান্দি, নাগরকান্দি, মুলকুরী পাড়া, শ্রী শ্রী মহাকুড়ি, মাটিহাস গনকপুকুর, মাটিহাস পূর্বপাড়া, মাটিহাস শিববাড়ি, মাটিহাস মহন্ত পাড়া, মাটিহাস দক্ষিণ পাড়া সরকার বাড়ি, ছোট কুঞ্চি, বৃকুঞ্চি পাখারীয়া উত্তর পাড়া, চৌদিঘী, বামন গ্রাম, আমড়া গোহাইল, কয়ার পাড়া, চককয়া, চাঁনপুর উত্তর পাড়া, চাঁনপুর দক্ষিণ পাড়া, চাঁনপুর পূর্বপাড়া, থালতা থালতেশরী মহামাতা, হাটকড়ই কালীবাড়ি, পুনাইল, কল্যান নগর চেচুয়া পাড়া, কল্যান নগর বৈষ্ণব পাড়া, মালঞ্চী মাষ্টার বাড়ি, কাথম সার্বজনিন কালী বাড়ি, চাকলমা হিন্দু পশ্চিমপাড়া, গুন্দইল মধ্যপাড়া, গুন্দইল উত্তরপাড়া, বৈলগ্রাম মোদকপাড়া, বৈলগ্রাম দক্ষিনপাড়া, নন্দীগ্রাম রাধাগোবিন্দ, নন্দীগ্রাম বারোয়ারী দুর্গামন্দির, কালিকাপুর, নন্দীগ্রাম কলেজ পাড়া সার্বজনিন রাধাগোবিন্দ দুর্গামন্দির সহ সর্বমোট ৪৬টি স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।
তবে উপজেলা প্রশাসন যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, প্রতিমা তৈরি সহ রং তুলির কাজ ও প্রায় শেষের দিকে। এ প্রসঙ্গে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সেক্রেটারী শ্রী সুকুমার বলেন, সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে সব হিন্দুধর্মীয় নারী-পুরুষরা ব্যাপক আনন্দ উল্লাস করবে বলে মনে করেন তিনি।
বাবু/জাহিদ