স্বরূপকাঠিতে শেখর হালদার (৩৩) নামে কথিত এক সাংবাদিক বিভিন্ন জনকে চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই সাংবাদিক গণপতিকাঠি গ্রামের সুকেশ মিস্ত্রীর পুত্র সাওনকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চাকরি দেয়ার কথা বলে দুই বছর আগে ৮ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাত করেন।
২০২০ সালে সুকেশ মিস্ত্রীর থেকে নগদ ছাড়াও বিকাশ এবং রকেট এর মাধ্যমে ৮ লাখ টাকা নেয়ার পরে সাওনকে চাকরি দেয়নি। টাকা ফেরত চাইলে সুরেশকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায় বলে তিনি আভিযোগ করেন। এছাড়াও রোঙ্গাকাঠি গ্রামের কলেজ ছাত্রী শান্তনা হালদারকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আবেদন করতে বলেন, এবং টাকা দাবি করেন। শান্তনার বাবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর পরে তার মেসেঞ্জারে প্রেমের প্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ আছে। বিথী নামের এক ছাত্রীকেও চাকুরী দেয়ার প্রস্তাব দেয়। সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারের ছাত্রীদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে শেখর হালদার।
ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে দুইলাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন কুহুদাসকাঠি গ্রামের মুদি দোকানদার রফিকুল ইসলাম। গত ১৯ সেপ্টেম্বর দোকানদার রফিক বাদী হয়ে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ওই মামলা দায়ের করেন। কথিত সাংবাদিক শেখর হালদার কুহুদাসকাঠি গ্রামের শুধাংসু হালদারের পুত্র।
জানা যায়, শেখর হালদার সমদেকাঠি, জলাবাড়ি, আটঘর কুড়িয়ানসহ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক পরিচয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ শেখর বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার সাথে সম্পর্কের কথা বলে চাকরি দেয়ার ক্ষমতা দেখান। সে সুবাধে ঝালকাঠির সীমান্তবর্তী গণপতিকাঠি গ্রামের সুকেশ মিস্ত্রীর পুত্র সাওনকে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চাকুরী দেয়ার কথা বলে দুই বছর আগে ৮ লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করছেন। কারো কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন শেখর হালদার। তিনি বলেন, সুকেশের ছেলে সাওন একটি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিল এবং আমি তখন সুকেশকে সাহায্য করতে গিয়ে তার সাথে সম্পর্ক হয়।
বাবু/জাহিদ