নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় ১১নং চিরাং ইউনিয়নের সাগুলি গ্রামের এক অসহায় বৃদ্ধা নারী কঠিন জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ। কিছু জুটলে খান নতুবা না খেয়েই থাকেন এই বৃদ্ধা। বলছিলেন জীবন যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া বৃদ্ধা রোজিনা।
স্থানীয়দের মতে, দেখার কেউ নেই এই বৃদ্ধাকে। মানুষ যে এতটা কষ্টে জীবনযাপন করতে পারে, তা না দেখে বিশ্বাস করা যাবে না। এ যুদ্ধের অংশীদার হতে কেউ-ই তার পাশে নেই, এমনকি স্থানীয় প্রশাসন জনপ্রতিনিধিরাও।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জীবন যুদ্ধে নামা সেই বৃদ্ধার নাম রেজিয়া আক্তার। তার বয়স (৬০)। স্বামী লাল মিয়া ওরফে লালু মিয়া। স্বামী মারা গেছেন বেশ কয়েক বছর পূর্বে। সেই থেকে বিদ্যুৎবিহীন ছোট্ট একটি ঘরে নিঃসঙ্গ দিন কাটছে নিঃসন্তান রেজিয়ার। সামান্য বসতভিটা ছাড়া আর কোনো সহায়-সম্পদ নেই রেজিয়ার। এ অবস্থায় নিজের আহারের ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হয়। কিছু জুটলে খান আর না জুটলে না খেয়ে থাকেন এই বৃদ্ধা। রেজিয়া আক্তারের নামে অদ্যাবধি সরকারি কোনো ভাতার কার্ড জুটেনি। অসহায় বৃদ্ধা রেজিয়ার দুর্বিষহ কষ্টের জীবন কাহিনী সাগুলী গ্রামের কারো অজানা নয়, তবুও তার পাশে নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ১১নং চিরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল কবীর খানের সাথে কথা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রেজিয়া আক্তার কে বন্যার সময় ত্রান দেওয়া হয়েছে, তবে সে কার্ড পায় নাই। আজকেই উনার সাথে দেখা করব এবং কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে অতি দ্রুত রেজিয়া আক্তার কে বয়স্ক এবং বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করে দিবো।
বাবু/জাহিদ