ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারোবাড়ী ইরা ফিলিং স্টেশনে বসেছিলো ভিন্নধর্মী এক পূজার বাজার। যেখানে পসরা সাজিয়ে শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, তেল, সাবান আর পূজার সব নিয়ে বসেছিলেন দোকানিরা। বাদ ছিলোনা লাড্ডু আর বাচ্চাদের খেলার উপকরণও।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় পূজার উৎসবকে রাঙিয়ে দিতে অসহায় দরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতেই এমন আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন। প্রত্যন্ত এ অঞ্চলে পূজার সব অনুসঙ্গ নিয়ে বসানো বাজারের নামও দেওয়া হয় পূজোর ফ্রি হাট। এ হাট থেকে সামর্থ্যহীন দুই শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী শিশু, কিশোর, নারী, পুরুষ এবং বয়স্করা পেয়েছেন শাড়ি, লুঙ্গি, জামা, প্যান্ট, গেঞ্জি, চুড়ি, আলতা, সিদুর এবং রঙিন বেলুন, তেল, সাবান নারিকেল, কসমেটিক সামগ্রী এমনকি লাড্ডু। আর এসব পেয়ে অনেক খুশি তারা। মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক আজহারুল ইসলাম পলাশ বলেন, আসলে আমরা ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিতে পছন্দ করি। সুবিধা বঞ্চিত বা সমাজের হতদরিদ্র মানুষগুলো যেন এই উৎসবে বাকি সবার মতো আনন্দে মেতে উঠতে পারে সেজন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ জেসওয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) দেবদাস ভট্টাচার্য বিপিএম, জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহম্মেদ ভুঁইয়া পিপিএম, গৌরিপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান, আঠারোবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ মো. মোল্লা মোজাহিদুর রহমান, আঠারোবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুবের আলম কবির রুপক।
নিরাজ জেসওয়াল ফ্রি হাট উদ্বোধনকালে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন রমজান ও ঈদে অসহায়দের জন্য ফ্রি হাটের আয়োজন করে থাকে। তেমনি তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসবে ফ্রি হাটের ব্যবস্থা করে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি মহতি উদ্যোগ। তাদের এমন মহৎ উদ্যোগের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে তা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।
বাবু/জাহিদ