বগুড়ার শাজাহানপুরে বিকাশ ব্যবসায়ীর এক লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছে স্বশস্ত্র ছিনতাইকারী চক্র। ছিনতাইয়ের সময় টাকা ও মোবাই ফোন দিতে অস্বীকার করায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাত ও মারপিটে গুরুতর আহত হয়েছেন বিকাশ ব্যবসায়ী ও ওষুধ ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ ওরফে পাকুল (৪২)। আহত পিকুল শাজাহানপুর উপজেলার সাতকানিয়া মধুপুর গ্রামের মৃত ওছমান গণি মন্ডলের পুত্র।
এ ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হলেও ছিনিয়ে নেয়া টাকা, মোবাইল ফোন উদ্ধার কিংবা কেউ গ্রেফতার হয়নি। উপজেলার সাতকানিয়া এলাকার একটি পোল্ট্রি ফার্মের সামনে গত ১১ অক্টোবর রাত ৯টায় ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই রাতেই শাজাহানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। পুলিশ অভিযোগটি গ্রহণ করেছে তবে আজ ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় কোন মামলা রেকর্ড করা হয়নি।
ঘটনার শিকার আব্দুল আহাদ পাকুল জানান, দেশমা বাজারে তাঁর একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। সেখানে তিনি বিকাশ ও নগদ ব্যাংকিং এর লেনদেন করেন। গত ১১ তারিখ রাত ৯টায় তিনি দোকান বন্ধ করে নগদ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ক্যাশ ও ব্যাংকিং কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সাতকানিয়া এলাকার একটি পোল্ট্রি ফার্মের সামনে পৌঁছামাত্র মুখোশ পরা ৫/৬ জনের মুখোশপরা একদল স্বশস্ত্র ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে জোরপূর্বক নগদ টাকা ও মোবাইল নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিলে ছিনতাইকারীরা ধারালো ছোরা দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে এবং তাঁর কাছে থাকা এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ভিকটিমের চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন ছুটে এলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আব্দুল আহাদ পিকুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেয়। বর্তমান তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দুটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ক্লু উদ্ধার নিয়ে সবাই ব্যস্ত ছিলাম। আব্দুল আহাদ পাকুলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
বাবু/জেএম