এই বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের খরমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা আখতার জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক (মহিলা) মনোনীত হয়েছেন। অপরদিকে মো. হাসিব আলী রাশেদ শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হন। তিনি উপজেলার মোগড়া ইউপির নয়াদিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বহুমুখী অবদান রাখায় জেলা বাছাই কমিটি ওই দুজনকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত করেন। মাহমুদা আখতার দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা গোপিনাথপুর আলহাজ্ব শাহআলম ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। এর আগে তিনি উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক (মহিলা) নির্বাচিত হন।
জানা যায়, মাহমুদা আখতার দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৩ সালে বিবিএ ও ২০০৪ সালে এমবিএ শেষ করে ২০১০ সালে জেলার ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকুরী জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৮ সালের জুন মাসে খরমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মাহমুদা আখতার খরমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই অত্যন্ত সুনাম, সততা, যোগত্য, মননশীলতা ও দক্ষতার সাথে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত মাল্টিমিডিয়া ক্লাস ও খেলাধুলাসহ-পাঠ্যক্রমিক, শিক্ষামূলক কার্যক্রম অত্যন্ত সুনামের সাথে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছেন। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নসহ পারিপার্শিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক মেয়ে ও এক ছেলের জননী। অন্যদিকে শিক্ষক মো. হাসিব আলী রাশেদ পৌর শহরের দেবগ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক ফজলে আলী মাস্টারের ছেলে। তিনি ২০০৬ সালে বিএসসি পাশ করে ২০০৯ সালের মে মাসে মোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকুরী জীবন শুরু করেন। চাকুরীর পাশাপাশি তিনি লেখাপড়াও চালিয়ে গেছেন যার ফলে তিনি ২০১৪ সালে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এমএসএস সম্পূর্ণ করেন।
২০১৩ সালের মার্চে তিনি নয়াদিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। মো. হাসিব আলী রাশেদ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে আকর্ষণীয় পাঠদান থেকে শুরু করে সমাবেশ, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক, কাব কার্যক্রম সহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ। তিনি জেলার পিটিআই থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে বর্তমানে তিনি গনিতের ট্রেনার হিসেবে কাজ করছেন। তার পাশাপাশি মো. হাসিব আলী রাশেদ একজন লেখক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করছেন। গত আগষ্টে তার লেখা সহজ বাংলা বানানের নিয়ম নামে একটি বই প্রকাশীত হয়েছে। এর আগে তিনিও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হন। ব্যক্তি জীবনে মো. হাসিব আলী রাশেদ এক ছেলের জনক।
বাবু/জেএম