ঢাকার আশুলিয়ায় ক্ষতিকারক রাসায়নিক মিশিয়ে কোন প্রকার নিয়মনীতি ছাড়াই ওরস্যালাইন তৈরির অনুমোদিত কারখানার সন্ধান মিলেছে। এঘটনায় কারখানার কেমিস্ট পরিচয়দানকারী একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার নিরিবিলি ফাল্গুনী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় বিজি প্রেস ফুড এন্ড বেভারেজ কারখানা নামে কারখানাটির সন্ধান পাওয়া যায়। পরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে কারখানার কর্মচারীকে মিরাজুল ইসলামকে আটক করে। কারখানা পরিচালনাকারী অভিযুক্ত মিজানুর রহমান জাহিদ, লিপন গাজী ও মোহাম্মদ সাদেক পলাতক রয়েছেন।
এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড সিনিয়র সেলস ম্যানেজার মোহাম্মদ গোলাম রিয়াজ বলেন, অনেক দিন ধরেই আশুলিয়ার এই এলাকায় আমাদের এসএমসি কোম্পানির স্যালাইন অনুমোদন ছাড়াই তৈরি করা হচ্ছিলো এমন গোপন সংবাদ পেয়েছিলাম আমরা। পরে আজ বিকেলে আমরা কোম্পানির পক্ষ থেকে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে আসি। পরে বিজি প্রেস নামে কারখানার সামনে একটি ভ্যানে এসএমসির ওর স্যালাইনের কার্টন বাজারজাত করণের উদ্দেশ্যে বাইরে পাই। পরে ভিতরে গিয়ে আমাদের কোম্পানীর স্যালাইন নকল মোড়কে তৈরি ও বাজারজাতকরণের সত্যতা মেলে। এসময় স্থানীয় থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে ঘটনাস্থলে তারা আসেন।
তিনি আরও বলেন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এই কারখানায় তাদের কোম্পানির স্যালাইন তৈরি করা হচ্ছিলো। প্রতিদিন ২০০ কার্টুন এই অনুমোদিত স্যালাইন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাতো। বিষয়টি আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এবিষয়ে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নিবো।
আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী বলেন, একটি কারখানায় নকল স্যালাইন ও ইনো তৈরির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। এখানে বিপুল পরিমাণ তৈরিকৃত ওরস্যালাইন এন ও ইনো পাওয়া গেছে। তবে এর পরিমাণ আমরা সিজারলিস্ট করে পরে বলতে পারব। এঘটনায় কারখানার কেমিস্ট পরিচয়দানকারী মিরাজ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাবু/জেএম