বগুড়ায় কৃষক আবু তাহের বাবলু হত্যা মামলায় আতাউল হক সরকার ওরফে আতা সরকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আতা সরকার সোনাতলা উপজেলার উত্তর দীঘলকান্দি গ্রামের মৃত মন্তেজার রহমান মন্তার ছেলে।
প্রসিকিউশন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১৫ বছর পর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেয়া হয়েছে। খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, বেলাল সরকার, জুয়েল সরকার ও আলমগীর হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি সাব্বির আহমেদ বিদ্যুৎ জানান, সোনাতলার উত্তর দীঘলকান্দি গ্রামের আবু তাহের বাবলুর সাথে আতাউর রহমান আতার জমিজমা নিয়ে পূর্বশত্রুতা ছিল। ২০০৭ সালের ৯ অক্টোবর দুপুরে বাবলু মাঠে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আতা সরকারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে আতা সরকার তাকে মারপিটে গুরুতর আহত করে। এ সময় বাবলুর স্ত্রী ও ছেলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরও মারপিট করা হয়। তখন আহত বাবলুকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাবলু মারা যান।
পরেরদিন ১০ অক্টোবর নিহতের শ্যালক সেলিম আকন্দ বাদি হয়ে সোনাতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আতাকে অভিযুক্ত করে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট জমা দেন সোনাতলা থানার তৎকালীন এস আই আব্দুস ছালাম। এরপর আদালতে উপস্থাপিত সাক্ষ্য প্রমাণে সোমবার আতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপর তিন আসামিকে খালাস দেন আদালত।
বাবু/জেএম