ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বিরামহীন বৃষ্টি ও দমকা বাতাস বয়ে গেছে। স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বেড়েছে। তলিয়েছে নিচু এলাকা। পানি ঢুকেছে ভাঙা বাঁধ দিয়েও।
জানা গেছে, রোববার মধ্যরাত থেকে একটানা বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে থেমে থেমে দমকা বতাস। সোমবার দুপুরে আগুনমুখা, বুড়াগৌরাঙ্গ, রাবনাবাদ ও দারছিড়া নদীতে জোয়ারের পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। স্থানীয়রা জানায়, ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকেছে উপজেলার চালিতাবুনিয়া ও চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা গ্রামে।
এদিকে, পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, উপজেলার ৭০টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে উপজেলা প্রশাসন, সিপিপি ও পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিকেল পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যেতে লোকজন অনীহা প্রকাশ করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাতে হয়তো লোকজন আসতে শুরু করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাবু/জেএম