বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় বড়ো ক্ষত রেখে গেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। উপজেলা প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে, ঝড়ে উপজেলায় অন্তত সাত শতাধিক কাচা-পাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পানিতে তলিয়েছে প্রায় ৩৫৫ হেক্টর আমন ধানের জমি। পানি জমে আছে এখনও পাঁচ শতাধিক বাড়িতে, ভেসে গেছে প্রায় ছয়শ’ পুকুর-ঘের। নষ্ট হয়েছে প্রায় ১৫ হেক্টর জমির সবজি ও দুই শতাধিক পানের বরজ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্লুইসগেট থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে উপজেলার সিডর বিধ্বস্ত বগী গ্রামের প্রায় সাড়ে তিনশ’ বিঘা জমির আমন ধান এখনো পানির নিচে।
তাদের অভিযোগ, স্থানীয় একটি সুবিধাভোগী চক্র সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষ করায় আমন ধানের ক্ষেত পানিবন্দি হয়ে আছে। খাল ও নদীর সঙ্গে সংযুক্ত পাইপ বন্ধ করে রাখায় পানি নামছে না। ফলে শতাধিক চাষী আমনের ক্ষেত নিয়ে চরম শঙ্কায় রয়েছেন।
এদিকে সময় মতো পানি নামার ব্যবস্থা না করায় তারা প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, প্রভাবশালী ওই চক্রটিকে বার বার পানি নামানোর অনুরোধ করেও কাজ হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, ঝড়ের ১১০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। বাকিগুলোর আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গৃহস্থসহ সব চাষী, ঘের, পুকুর মালিকদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতা করা হবে।
পানি অপসারণের বিষয়ে তিনি বলেন, সাউথখালী ইউনিয়নের তিনজন মেম্বারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তারা ক্ষেতের পানি অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
-বাবু/এ.এস