গাজীপুরের কালীগঞ্জে সোলাইয়মান (৩) নামের এক শিশুপুত্রকে ধারালো ব্লেড দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত বাবা মো. কাজলকে (৩৯) স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
রোববার (০৬ নভেম্বর) সকালে নিহত শিশু সোলাইমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার (০৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার জাঙ্গালিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহতের চাচা মো. আজগর বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা (নং ৬) দায়ের করেন।
খুন এবং আসামী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম মিয়া।
গ্রেফতারকৃত কাজল উপজেলার জাঙ্গালিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে ওয়ার্কশপ শ্রমিকের কাজ করতেন। নিহত সোলাইমান তারই ৩ বছরের শিশু সন্তান। কাজলের ৮ বছরের আরো একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এসআই শামীম নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, গেল রাত সাড়ে নয়টার দিকে কাজলের স্ত্রী পাশের রান্নাঘরে রাতের খাওয়া-দাওয়া সারতে যান। এ সময় কাজল বাড়িতে প্রবেশ করে তার শয়ন কক্ষে শিশুপুত্র সোলাইমানকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তাকে ধারালো ব্লেড দিয়ে গলা কেটে দরজা বন্ধ করে ঘরে অবস্থান করেন। কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রী এসে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে ধাক্কাধাক্কি করলেও তা খোলেননি কাজল। পরে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে শিশুর সোলাইমানকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পায়। পাশে ছিল ধারালো ব্লেড। পডরে সোলাইমানের মায়ের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে কাজলকে আটক করে পুলিশে খবর দেয। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের মরদেহ উদ্ধার ও কাজলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এসআই আরো জানান, এ ঘটনায় নিহতের চাচা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় সোলাইমানকে গ্রেফতার দেখিয়ে গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এসআই।
মামলার বাদী ও গ্রেফতারকৃত কাজলের ভাই আজগর জানান, কাজল মানসিকভাবে কিছুটা বিকারগ্রস্থ। মাঝেমধ্যেই তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।
-বাবু/এ.এস