বলতে পারো মা আমরা এতো গরিব কেন, শুধুমাত্র যৌতুকের জন্য আমার সংসার করা হলো না, আমরা দুই ভাই ও দুই বোন, ইচ্ছা করলেই আমার পরিবার যৌতুকের টাকা দিতে পারবে না।পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেয়ার ও কয়েকবার চেষ্টা করেন বিথী আক্তার।
বিথী আক্তার সাহতা ইউনিয়নের হাটশিরা গ্রামের মৃত শাজাহান মিয়ার মেয়ে।
দীর্ঘ ৭ বছর প্রেম করার পর গত ১৫ মে ২০২১ সালে সাহতা ইউনিয়নের দত্তগ্রাম গ্রামের সুনিল চন্দ্র সরকারের ছেলে মিঠু চন্দ্র সরকারের ছেলে সঙ্গে ধর্ম পরিবর্তন করে বিথী আক্তারের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে করার পরে যৌতুক নিতে কৌশলে স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় মিঠু চন্দ্র সরকার ওরফে মিঠু আহমেদ সরকার। পরিবার ও নিজ চেষ্টায় স্বামীর সংসার করতে চান এক সন্তানের জননী বিথী আক্তার।
যৌতুক দিতে না পারায় বিথী আক্তারের উপর অমানষিক নির্যাতন করতো স্বামী মিঠু আহমেদ সরকার ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা। মিঠু আহমেদ সরকারের টাকার প্রয়োজন হলেই বিথী আক্তারের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতো বিথী আক্তারকে।
এক পর্যায়ে নিজের ও মায়ের স্বর্ণালংকারও স্বামীকে দেন বিথী আক্তার। তবুও যৌতুকের টাকা নেয়ার লোভ মুছে ফেলতে পারেননি স্বামী মিঠু আহমেদ সরকার।
এক পর্যায়ে বিথী আক্তারের পরিবারের কাছে ব্যবসার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন মিঠু। একইসঙ্গে মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার আবদার চালিয়ে যান। আবদার পূর্ণ না হওয়ায় বিথীর ওপর চলে নিয়মিত মানসিক নির্যাতন। সেই নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে কীটনাশক পান করারও চেষ্টা করেন বিথী।
একটি চিরকুটে বিথী লিখেন ‘আমি যদি মারা যাই আমার মৃত্যুর জন্য (মিঠু) দায়ী। এই মোবাইল ট্র্যাকিং করলে আপনারা বুঝতে পারবেন। মিঠু আমাকে আত্মহত্যার জন্য অনেক দিন ধরে চাপ দিয়ে আসছে। আপনারা মিঠুকে ছাড়বেন না। ইতি বিথী।
বিথীর স্বামী মিঠু আহমেদ সরকার বলেন, বিথী মানসিক রোগী। যৌতুকের বিষয়ে অস্বীকার করে তিনি বলেন, বিথীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কখনো তাদের কাছ থেকে টাকা চাইনি।
এদিকে বিথীর ভাই বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য বিথীকে সবসময় মানসিক চাপে রাখে মিঠু। এক পর্যায়ে সুমি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় এবং আমরা থাকে অনেক বুঝিয়ে আত্মহত্যার পথ থেকে ফিরিয়ে আনি। আমরা চাই বিথী যেন তার স্বামী ও সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করে।
বিথী আক্তার বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর প্রেম করার পরে মিঠু আহমেদ সরকার ও আমার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে ১৫ মে ২০২১ সালে যার এফিডেভিট নং -৭ , বিথী আক্তার আরও বলেন আমাদের একটি ১ বছরের সন্তান রয়েছে। আমি আমার স্বামীর সংসার করতে চাই।
-বাবু/এ.এস