শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) নেত্রকোনা হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা জেলা ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে নানা কর্মসূচীতে পালিত হয়েছে দিবসটি। একাত্তরের এই দিনে জেলা শহরের কৃষি ফার্ম এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা ও পাক-সেনাদের মধ্যে সন্মুখ যুদ্ধে হানাদার বাহিনী পিছু হঠে। মুক্ত হয় নেত্রকোনা। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আবু খা, আব্দুর রশিদ ও আব্দুর সাত্তার শহীদ হন।
৯ ডিসেম্বর নেত্রকোনা পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার মুক্ত হয় নেত্রকোনা। প্রতি বছরের মতো এ বছরও জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালনের উদ্যোগ নিয়েছে।
দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের রায় কার্যকর ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বধ্যভূমিগুলোকে চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
আজকের এ দিনে নেত্রকোনা শহরকে পাক হানাদার মুক্ত করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধাদের চর্তুমুখী আক্রমনের মুখে হানাদার বাহিনী শহর ছেড়ে পালিয়ে যাবার পথে মোক্তারপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন কৃষি ফার্মের কোনায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাক হানাদারদের মরণপন লড়াই হয়। এই লড়াইয়ে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সিদ্দিক আহমেদ ওরফে সাত্তার, আব্দুল জব্বার ওরফে আবু খাঁ ও আব্দুর রশিদ।
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মহান এই আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ ও নতুন প্রজন্মের সামনে তাদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা তুলে ধরতে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেত্রকোনা জেলা ইউনিট কমান্ড কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে সকাল ৯.৩০ টায় প্রজন্ম শপথ ভাষ্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল সাড়ে ১০টায় স্থানীয় পাবলিক হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার ৯ ডিসেম্বর সকালে জেলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গনে ভাস্কর্য প্রজন্ম শপথ স্মৃতি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন সমাজ কল্যান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, ও পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড, জেলা আওয়ামী লীগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন।
বাবু/এসআর