সংসদে তিন ’শ সংসদ সদস্য। সেখানে বিএনপি তো বিরোধী দলও না। বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্য যদি পদত্যাগ করে এতে সংসদের চলার ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে না। এর মাধ্যমে যদি তারা জনমত তৈরি চায় করতে পারে। আগামী নির্বাচন আসবে, নির্বাচনে জনগণ তাদের মতামত দিবে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্প পরিদর্শন কালে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষ বিক্ষোভ করবে, মানুষ তার দাবিগুলো তুলে ধরবে। শান্তিপূর্ণভাবে জনমত তৈরী করবে। কিন্তু বিরোধী দলের যে আন্দোলনের গতি প্রকৃতি আমরা সব সময় দেখে আসছি তারা জ্বালাও পোড়াও করে মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে, মানুষকে মেরে। মানুষকে অগ্নিসংযোগ করে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনাবাহিনীর যে বর্বরতা আমরা দেখেছি তাদেরই প্রেতাত্মা আজকে যারা বিরোধী দল হিসাবে দাবি করছে। বিএনপির রাজনীতির সহিংসতা নিয়ে আমরা সব সময় আশঙ্কিত থাকি। না হলে আন্দোলনের সাথে রেল পোড়ানোর কি সম্পর্ক বলেন তো? রেলের যাত্রীদের অনিরাপদ করার সম্পর্ক কী। আপনি আন্দোলন করেন। কেন রেল লাইন উপড়ে ফেলেন। কেন রেল জ্বালিয়ে দেন। কেন রেলকে আক্রমণ করেন। কেন যানবাহনকে আক্রমন করেন। এটার সাথে আন্দোলনের সম্পর্ক আছে।
আপনি শান্তিপূর্ণ হরতাল ডাকেন কিংবা আনন্দলোনের কর্মসূচী দেন। মানুষ যেটাকে সমর্থন করে সে ব্যপারে জনমত গড়ে তুলেন। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের চলমান কাজ আগামী বছরের জুনের ৩০ মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহা ব্যবস্থাপক মো. জাহাংগীর হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিয়া। লাকসাম-আখাউড়া রেল প্রকল্পের পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালকের অন্যান্য কর্মকর্তা সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে ১০ কিলোমিটার বাংলাদেশে এবং ভারতের আগরতলায় ৫ কিলোমিটার।
বাবু/জেএম