দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরা হল না ইয়াসফির। ফুফুর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রানীখার গ্রাম থেকে দাওয়াত খেয়ে মঙ্গবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে চাচীর সঙ্গে আসার পথে ইয়াসফি দুর্ঘটনার শিকার হয়।
রাস্তার মাঝে থাকা সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার ছেলে আনিছ মিয়ার সেচ যন্ত্রটি পার হওয়ার সময় পা পিছলে পড়লে তার ওড়না আটকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। নিহত ইয়াসফি সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের চান্দি গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মো. জসিম মিয়ার একমাত্র মেয়ে। এ ঘটনার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিকালে তিতাস ব্রীজ থেকে কাঁচা রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল ইয়াসফি। পথিমধ্যে চান্দি দক্ষিণ বাড্ডা এলাকায় রাস্তার উপরে রাখা ড্রেজারের পানি তোলার সেচ মেশিনের বেল্টের সাথে উড়না পেচিয়ে যায়। শ্বাস বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। এসময় ভাতিজির মর্মান্তিক মৃত্যুর দৃশ্য দেখে চাচী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আসে।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, আনিছ মিয়ার সেচ মেশিনের পানি পড়ে কাদামাটি হয়ে রাস্তাটি পিচ্ছিল হয়েছিল। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বাসুদেব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. টিপু সুলতান বলেন, রাস্তার উপরে সেচ মেশিন রেখে পানি তুলছিলেন আনিছ মিয়া। এতে রাস্তা দিয়ে চলাচলে অসুবিধা হচ্ছিল গ্রামবাসীর। আজ মেশিনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উড়না পেচিয়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়।
পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে বলেন দূর্ঘটনার সময় মেশিন চালনার লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক মেশিনটি বন্ধ করলে তাকে বাঁচানো যেত। এ বিষয়ে মেশিনের মালিক আনিছ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা ঘটিত মৃত্যু। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও মামলা হয়নি।
বাবু/জেএম