মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫ ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১৫ জুলাই ২০২৫
ডিমলায় লেপ তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা
বাসুদেব রায়, ডিমলা (নীলফামারী)
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:২৭ PM

উত্তর বঙ্গের সীমান্ত ঘেষে যাওয়া উত্তরের জেলা নীলফামারী। সীমান্তবর্তী ও হিমালয়ের কিছুটা কাছাকাছি হওয়ায় নীলফামারীর ডিমলায় দেখা দিয়েছে আগাম শীত। শীত নিবারণের জন্য ব্যবহার হয় লেপ।

আগাম শীত দেখা দেয়ায় লেপের চাহিদাও বেড়েছে এখন থেকে। তাই লেপ তৈরিতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।  শীতের আনাগোনা শুরু হওয়ায় মানুষের লেপের চাহিদা বাড়াই লেপ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররও তুলা ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে  ডিমলা বাজারের লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। দিন রাত নাওয়া খাওয়া ভুলে কাজ করছে শ্রমিকরা।

ডিমলার কারিগর লাল মোহন রায় জানান, তিনি গত ১০/১৫ বছর থেকে লেপ তৈরির কাজ করে আসছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আগাম শীতের কারণে লেপের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দিনে একজনে ৬ থেকে ৮টা পর্যন্ত  লেপ তৈরি করেন তারা। এতে তারা প্রতি লেপ সেলাইতে মজুরি পান ১৫০ টাকা। এবার তাদের কাজের চাপ এখন থেকেই বেড়েছে। তাই সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করছেন। কাজের চাপ আরো বাড়তে পারে বলে মনে করেন তিনি। অন্যদিকে কারিগর সলেমান হোসেন জানান এখন জাজিমের চাহিদার থেকে লেপের চাহিদা বেশি হলেও জাজিমের চাহিদাও কম না। আমরা প্রতি জাজিমে সেলাই মজুরি পাই ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা। দুই জন কারিগর মিলে দিনে কমপক্ষে ৪টি জাজিম তৈরি করতে পারেন তারা। কারিগর প্রতাপ রায় জানান, অন্যান্য মৌসুমে দিনে ২ থেকে ৩টি করে লেপ তরির কাজ পাওয়া গেলেও বর্তমানে শীত শুরু হতে না হতেই দিনে ১২ থেকে ১৭ টা পর্যন্ত লেপ সেলাইর কাজ হয় তাদের। এ কাজ চলে ২/৩ মাস মাত্র। তারপরে সারা বছর জাজিম আর তোষক বানাই। সে কারণে এ শীতে বেশি লেপ বানিয়ে ব্যবসায় করতে হবে। ডিমলা বাজারের পূর্ণ রায় জানান গতবার নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের তুলনায় এবার নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে তুলনামূলকভাবে লেপ বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে গতবারের তুলনায় এবার বিভিন্ন প্রকার তুলা ও কাপড় অনুযায়ী লেপ প্রতি দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। বর্তমানে বিভিন্ন মাপের লেপ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫’শ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।  এবার হঠাৎ করে আগাম শীত শুরু হওয়ায় ক্রেতার চাপ বেড়েছে। এতে কারিগররাও অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করছেন বিধায় তাদের একটু কষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে লেপ তৈরির বিভিন্ন মালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপের দামও একটু বেশি। তারপরেও অনেক মানুষ লেপ বানাচ্ছেন। ডেলিভারি দিয়ে শেষ করা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি। লেপ-তোষক তৈরির পাশাপাশি বিছানার চাদর, বালিশ ও বালিশের কভারসহ দরজা জানালার পর্দার কাপড় বিক্রি করা হচ্ছে এসব দোকানে। লেপ-তোষকের এ সব দোকানের কারিগরদের ব্যস্ততা দেখে মনে হচ্ছে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে তাদের কাজের চাপ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

-বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত