আর্থিক প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ১২৪ কোটি টাকার বেশি খোয়ালেন অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্ট। একটি সংস্থায় বিনিয়োগ করে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হলেন তিনি। তবে এমন এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর অবশ্য মনোবল শক্ত রাখার চেষ্টার করছেন বোল্ট। বলছেন, তিনি ভেঙে পড়েননি।
দীর্ঘদিন ধরেই সেই সংস্থায় বিনিয়োগ করে আসছেন আটটি সোনাজয়ী বোল্ট। তবে দুই সপ্তাহ আগেই এক প্রতারকের জালে পরে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যায়। বোল্টের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তার (বোল্ট) জীবনের সকল সঞ্চয় জমা ছিল ওই অ্যাকাউন্টে। তিনি তার ওই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকায় হাত দিতেন না।
এদিকে এত বড় এক ঘটনার পর নিজের বিজনেস ম্যানেজারকে বরখাস্ত করেছেন উসাইন বোল্ট। জ্যামাইকান এই স্প্রিন্টার ব্যবসা এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত সবকিছু দেখাশোনা করতেন তার বিজনেস ম্যানেজার।
জ্যামাইকার এক হোটেলে বসে বোল্ট বলেন, ‘একজন মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে যা অর্জন করে তা যদি হারিয়ে ফেলে, তাহলে তার জন্য একটি দুঃখজনক পরিস্থিতি তৈরি হবে- এটাই স্বাভাবিক। এটা অবশ্যই আমার জন্য একটা খারাপ পরিস্থিতি এবং আমি খুব হতাশ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এ নিয়ে খুব বেশিকিছু বলতে চাই না। কারণ, সব সময় আমার মতো কিছু মানুষের খুব বেশি কিছু বলা সাজেও না। আমি অনেকের মন্তব্য পড়েছি। অধিকাংশই এখনও দ্বিধান্বিত। আমিও চাই না, এই দ্বিধা বাড়াতে। আমাদের কী ঘটে, সে অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে আমি ভেঙে পড়িনি। তবে অবশ্যই এই ঘটনা আমাকে একটা জটিল অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জ্যামাইকার ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কমিশন। এ ধরনের ঘটনায় সরকারের একাধিক সংস্থা এবং বহু প্রবীণ নাগরিক প্রতারিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জ্যামাইকার অর্থমন্ত্রী নাইজেল ক্লার্ক।
বাবু/এ আর