দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রংপুর-১ আসনে আলোচনায় এখন শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান। ভোটাররা বলছেন, এই অঞ্চলের শিল্প বিকাশে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে যাঁরা কাজ করবেন, এমন প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে চান তাঁরা। নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীরাও ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তাঁরা নির্বাচিত হওয়ার পর উন্নয়ন, শিল্পে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কাজ করবেন।'
রংপুর-১ আসনের ভোটার মোখলেছুর রহমান বলেন,'এলাকায় কলকারখানা নাই। কৃষিজমিতে সারা বছর কাজ থাকে না। হামরা এবার ৫-১০ সের ত্রাণের চালের জন্য ভোট দিবার নই। যে এলাকাত কলকারখানা বানাইবে, হামার কাজের ব্যবস্থা করি দিবে, তাঁকে ভোট দিমো।'
লক্ষিটারী ইউনিয়নের বাসিন্দা আদুরী বেগম এর পরিবারে তিনজন নারী ভোটার। তিনি বলেন, 'ভোট আসলে নারীদের দাম বাড়ে। কিন্তু অন্য সময় আমাদের নিয়ে কেউ ভাবে না। রংপুরে নারীদের কাজের সুযোগ তেমন নেই। দুই মেয়ে পড়ালেখা করে বসে আছে, কাজ নেই। তাই যে এবার কাজের ব্যবস্থা করে দেবে তাঁকেই আমরা ভোট দেব।'
ভোটের ভাবনা জানতে চাইলে রংপুর সদরের আমিনা বেগম বলেন, 'ঘর-গৃহস্থের কাজ শেষে অলস সময় পার করতে হয়। এলাকায় শিল্প কলকারখানা হলে অলস সময়ে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে পরিবারে সহায়তা করতাম। ভোট এবার তাঁকেই দিব, যে নারীদের কাজের ব্যবস্থা করবেন।'
রংপুর -১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা নির্বাচনী পথসভায় দাবি করেছেন, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আগামী পাঁচ বছর হবে শিল্পায়নের বছর, মানুষের কর্মসংস্থানের বছর, চাকরি পাওয়ার বছর। রংপুরে বড় সমস্যা হলো বেকার সমস্যা। এটি দূর করার জন্য শিল্পায়নের প্রয়োজন। কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য তিনি শিল্পায়ন করবেন বলে জানান।