৪ রানে হারের ম্যাচে স্পষ্টতই বাজে আম্পায়ারিংয়ের বলি হয়েছে বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয়ের আউটসহ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিতর্কিত ডেড বলের নিয়মে কপাল পুড়েছে বাংলাদেশের।
নাটকীয় ঘটনা ঘটে ওটনিল বার্টম্যানের করা ইনিংসের ১৭তম ওভারে। প্রথম বলটি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্যাডে লেগে ফাইন লেগ দিয়ে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। প্রোটিয়া ফিল্ডারদের আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে আঙ্গুল তুলি রিয়াদকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন মাহমুদউল্লাহ।
এতে দেখা যায়, বলটি লেগ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরে ছিল। ফলে বাধ্য হবে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় আম্পায়ারকে। রিভিউতে মাহমুদউল্লাহ আউট থেকে বাঁচলেও নিয়মানুযায়ী সম্ভাব্য চারটি রান বাতিল হয়ে যায় বাংলাদেশের।
ক্রিকইনফোর বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষণে নিজের একটি ভাবনার কথা বলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মানজ্রেকার। তিনি বলেন, ‘সাধারণত এ সব ক্ষেত্রে বলের পুরো অ্যাকশন শেষ হওয়ার পর আম্পায়ান নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন, এতে করে ঐ বলের রানগুলো বাতিল হয় না।’
প্রায় একই সুরে কথা বলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটারের সঙ্গে একমত প্রোষণ করে তামিম বলেন, এই নিয়মটি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) ভাবা উচিত।
তার মতে যদি ব্যাটার আউট না হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে সেটা চার রান দেওয়া উচিৎ। কারণ লো স্কোরিং ম্যাচে চার রান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণে হেরে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আইসিসি এই নিয়মটি নিয়ে ভাবতে পারে, এটি পরিবর্তন হওয়া দরকার।’
ভারতের আরেক সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম জাফর লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্য খারাপ লাগছে। রিয়াদের (মাহমুদউল্লাহ) লেগ বিফোরটি আউট ছিল না, সেটি থেকে আসা চার রানও বাতিল হয়ে গেল এমন এক সিদ্ধান্তে।’
এখানেই শেষ হতে পারতো এই বিতর্ক। পরের ওভারে কাগিসো রাবাদার প্রথম বলে তাওহীদ হৃদয়কে লেগ বিফোর আউট দেন আম্পায়ার। দ্রুত আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ নেন হৃদয়। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে আউট হয়ে যেতে হয় তাকে।
৩৪ বলে ৩৭ রান করা ডানহাতি এই ব্যাটারকে পুরো ম্যাচে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়। হৃদয় আউট হয়ে যাওয়ার পর বাকি ১৮ বলে কোনো বাউন্ডারি হাকাতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার। ফলে চার রানে হেরে যেতে হয়।