মনিরুল হত্যা মামলায় কাওছার গুলশান থানা পুলিশের কাছে সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশ কর্মকর্তারা কাওসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। কিন্তু হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি মুখ খুলছেন না।
জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি বারবার বলছেন, কাজটি (খুন) ঠিক করেননি। তবে অনুতপ্তও নন। এর মধ্যেই পছন্দের খাবার খেতে চাচ্ছেন কাওসার। পছন্দের খাবার দেওয়াও হচ্ছে তাকে।
মনিরুল ও কাওছার ডিএমপির কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন। গত শনিবার রাতে বারিধারায় ফিলিস্তিন দুতাবাসে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তারা। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কাওছার পুলিশ বক্সের মধ্যে আর মনিরুল বাইরে ফুটপাতে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়েছিলেন।
একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে বক্স থেকে মনিরুলকে গুলি করেন কাওছার। গুলিবিদ্ধ হয়ে মনিরুল রাস্তায় উপুর হয়ে পড়ে যান। এরপর কাওছার বক্স থেকে বেরিয়ে ফের গুলি করেন মনিরুলকে। ৩০ রাউন্ড গুলি শেষ হওয়ার পর আরেকটি ম্যাগজিন ঢুকিয়ে গুলি করা হয়। গুলি করার পর কাওছার কখনও ফুটপাতে বসেন, কখনও হেঁটে বেড়ান। এক সময় পা ছড়িয়ে ফুটপাতে বসেন। পাশেই নিজের মোবাইল ফোন রেখে সে সময় গান শুনছিলেন তিনি।
কনস্টেবল মনিরুল হত্যার ঘটনায় সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি করেছে। ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার রিফাত রহমান শামীমকে আহ্বায়ক করা হয়েছে কমিটিতে। অপর সদস্যরা হলেন, কূটনৈতিক নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার এলিন চৌধুরী ও ডিএমপি সদরদপ্তরের সহকারী কমিশনার আশফাক আহমেদ।