হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বস্তির হাওয়া বইছে। অনেক কম সময়ে মিলছে সব সেবা। উচ্ছ্বসিত প্রবাসীসহ সাধারণ যাত্রীরা।
নানামুখী উদ্যোগে বেড়েছে সেবার গতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি কোম্পানিকে দায়িত্ব দিতেই বছরের পর বছর হয়রানি জিইয়ে রাখতেন সালমান এফ রহমান চক্র। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্বল্প সময়ে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন এসেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রীসেবায়।
বিমানবন্দর নিয়ে বছরের পর বছর পাহাড়সম অভিযোগ ছিল প্রবাসীদের। এখন তারা বিমানবন্দরে নেমে বলছেন স্বস্তির গল্প। লাগেজ ভাঙ্গা তো দূরের কথা, ইমিগ্রেশন পার হয়ে অনেক যাত্রী নিজেদের লাগেজ হাতে পাচ্ছেন ১৫ থেকে ২০ মিনিটেই। পরিবর্তনের হাওয়ায় বন্ধ হয়েছে যাত্রী লাঞ্ছনা, ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমসসহ পদে পদে হয়রানিও। সহযোগিতায় রয়েছে হেল্প ডেস্ক, ফ্রি-ওয়াইফাই ও টেলিফোন সেবা।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার ইক্যুইপমেন্ট, জনবল নিয়োগ ও নিরাপত্তা কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত দায়িত্ব পালনের কারণেই গতি বেড়েছে সার্বিক কার্যক্রমে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেম মো. কামরুল ইসলাম বলেন, যাত্রীসেবা আগের চেয়ে অনেক বাড়ানো হয়েছে। যাত্রীদের লাগেজগুলো যেন দ্রুত হাতে চলে আসে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।